Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কোভিড পজিটিভ প্রসূতিদের সন্তানরাও জন্মগত জটিলতার ঝুঁকিতে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১২ ডিসেম্বর ২০২১ ২৩:৪৫

ঢাকা: নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমিত প্রসূতিদের গর্ভকালীন জটিলতা অন্যান্য স্বাভাবিক গর্ভবতীদের থেকে বেশি হয়। আক্রান্ত গর্ভবতীর সদ্যোজাত সন্তানও জন্মগতভাবেই হৃদরোগ ও ওজন স্বল্পতার মতো সমস্যা নিয়ে ভূমিষ্ঠ হয়।

রোববার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস) মিলনায়তনে ‘গবেষণা কার্যক্রমের ফলাফল অবহিতকরণ কর্মশালায়’ এসব তথ্য জানানো হয়। প্ল্যানিং মনিটর রিসার্চ (পিএমআর) অপারেশনের আওতায় এই গবেষণা পরিচালনা করা হয়।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশের প্রধান হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে এরকম গবেষণা করা হয় ১৪২টি। এদিন সেসব গবেষণার ফলাফল সংক্ষিপ্ত আকারে অবহিত করা হয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে।

কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, কোভিডমুক্ত হওয়ার পরে আক্রান্ত ব্যক্তির হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। গবেষণায় পাওয়া ফলাফল থেকে দেখা যায়, ৬০ বছরের বেশি যাদের বয়স তারা করোনা সংক্রমিত হয়ে সব থেকে বেশি মারা গেছেন। মারা যাওয়ার তালিকায় আশঙ্কাজনক হারে দেখা গেছে সব বয়সী ধূমপায়ীদের।

তিনি বলেন, করোনা আক্রান্ত হয়ে যারা আইসিইউ, ভেন্টিলেশনে ছিলেন এবং আক্রান্তকালীন অবস্থায় যাদের বেশি পরিমাণে অক্সিজেন নিতে হয়েছে, তাদের কোভিড পরবর্তী সময়ে নানা ধরনের শারীরিক জটিলতা দেখা দিচ্ছে।

ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ নিয়ে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা বলতে হয়েছে। তাকে বিস্তারিত বোঝাতে হয়েছে কেন আমদের দেশে বুস্টার ডোজ দরকার।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকল অনুযায়ী দেশের সবার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিন সম্পন্ন করে তারপর বুস্টার ডোজ দিতে হবে। আমাকে প্রধানমন্ত্রীও তাই বলেছিলেন। তখন আমি তাকে বোঝাই, যাদের দ্বিতীয় ডোজ সম্পন্ন হয়েছে তাদের বুস্টার ডোজ দেওয়ার আগে যদি আমরা অন্যদের ভ্যাকসিন দেওয়া সম্পন্ন করতে যাই, তাহলে হয়তো এই সময়ে দ্বিতীয় ডোজ পাওয়া ব্যক্তিরা আবার আক্রান্ত হতে পারেন।

এ ধরনের গবেষণা থেকেই আমরা এরকম তথ্য জানা গেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এ কারণে গবেষণার প্রতি জোর দেওয়া জরুরি। গবেষণায় জোর দিলে আমরা অগ্রিম অনেক কিছুই জানতে পারব এবং এতে সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।

কর্মশালায় জানানো হয়, দেশে পিএমআর, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের আওতায় ১৪২টি গবেষণা পরিচালনা করা হয়েছে। এতে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কনসাল্ট (বিএমআরসি), বিভিন্ন বিশেষায়িত চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান, মেডিকেল কলেজ, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট মেডিকেল ইনস্টিটিউট এবং আইইডিসিআর ও নিপসমসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।

সারাবাংলা/এসবি/টিআর

কোভিড পজিটিভ প্রসূতি গর্ভকালীন জটিলতা জন্মগত জটিলতা টপ নিউজ

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

ভারত থেকে ফিরলেন ৯ বাংলাদেশি তরুণী
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:২৩

আজ জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দেবেন ড. ইউনূস
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:০৪

সবজি-মুরগির বাজার চড়া, অধরা ইলিশ
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১:১০

সম্পর্কিত খবর