মুরাদের বিরুদ্ধে মামলার আবেদনের শুনানি আজ
১৩ ডিসেম্বর ২০২১ ১০:২৮
ঢাকা: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মেয়ে জাইমা রহমান সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ, অশ্লীল ভাষায় নারী বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের অভিযোগে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানসহ দুই জনের বিরুদ্ধে ঢাকার সাইবার আদালতে মামলার আবেদনের ওপর শুনানির জন্য আজ দিন ধার্য রয়েছে।
সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে জমাকৃত আবেদনের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে, ১২ ডিসেম্বর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি দায়ের করেন ঢাকা বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক ফারুকী। আদালত ছুটিতে থাকায় সোমবার শুনানির দিন রেখেছেন। মামলার অপর আসামি হলেন, মহিউদ্দিন হেলাল নাহিদ।
মামলার আবেদন থেকে জানা যায়, তারেক রহমানের কন্যা জাইমা রহমান লিংকন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যারিস্টার-অ্যাট-ল ডিগ্রি লাভ করেছেন। বর্তমানে তিনি যুক্তরাজ্যে আইন পেশায় নিয়েজিত রয়েছেন। জাইমা রহমানের দাদা প্রেসিডিন্ট জিয়াউর রহমান, দাদি তিন বারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। মামলার আসামি ডা. মুরাদ হাসান বর্তমান সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ছিলেন এবং দুই নম্বর আসামি নাহিদ একজন মিডিয়া উপস্থাপক।
১ ডিসেম্বর আসামি নাহিদ আসামি ডা. মুরাদ হাসানের সাক্ষাৎকার নেন। যা পরবর্তীতে আসামি ডা. মুরাদ হাসান তার ফেসবুক ভেরিফাইড পেজে প্রচার ও প্রকাশ করেন। ওই সাক্ষাৎকারের ডা. মুরাদ হাসান উদ্দেশ্যমূলকভাবে জিয়া পরিবার এবং ব্যারিস্টার জাইমা রহমান সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ, মিথ্যাচার, নারী বিদ্বেষী, মানহানিকার অশ্লীল মন্তব্য করেন।
মামলায় আরও বলা হয়, আসামি ডা. মুরাদ হাসান সংবিধানের ১৪৮ অনুচ্ছেদের তৃতীয় তফসিল অনুয়ায়ী যে সাংবিধিানিক শপথ গ্রহণ করেছিলেন তা এসব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তিনি লঙ্ঘন করেছেন। আসামিদের এহেন কর্মকান্ড ফেসবুকের মাধ্যমে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। যা সর্বমহলে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে বিভিন্ন মহল থেকে আসামি ডা. মুরাদের মন্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং জানাচ্ছে। আসামিদের এ কর্মকাণ্ড জিয়া পরিবার ও ব্যারিস্টার জাইমা রহমানসহ সমগ্র নারী সমাজের জন্য মানহানিকার ও অপমানজনক। উক্ত মিথ্যা ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটিয়েছে। তাই এ অপরাধ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫/২৯/৩১/৩৫ ধারায় শস্তিযোগ্য হওয়ায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগটি আমলে নিয়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা প্রয়োজন।
বিভিন্ন টক শো এবং অনুষ্ঠানে নানা বিষয়ে বিতর্কিত মন্তব্য ও ঢাকাই সিনেমার এক নায়িকার সঙ্গে অডিও ফাঁসের ঘটনায় ডা. মুরাদকে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করতে বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে তিনি পদত্যাগ করেন। একইসঙ্গে জামালপুর আওয়ামী লীগের পদ হারান।
সারাবাংলা/এআই/একেএম