‘অবকাঠামো থাকলেও স্বাস্থ্যে জনবল ঘাটতি রয়েছে’
১৪ ডিসেম্বর ২০২১ ১০:১৬
ঢাকা: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, স্বাস্থ্য খাতে অনেক অবকাঠামো থাকলেও পর্যাপ্ত জনবলের ঘাটতি রয়েছে। আমাদের আরও জনবল প্রয়োজন।
সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে ‘স্পেশাল ইনিশিয়েটিভ ফর মেন্টাল হেলথ’ কার্যক্রমের সূচনা ও পরিচিতি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন জাহিদ মালেক।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে জনবল একটি বড় বিষয়। আমাদের স্পেশালিস্ট চিকিৎসকের অভাব রয়েছে। বিভিন্ন পর্যায়ে আমাদের অনেক চিকিৎসক প্রয়োজন। বিশেষ করে সাইকিয়াট্রিস্ট ও সাইকোলজিস্ট, কার্ডিয়াক সার্জন, এনেসথেসিস্টসহ বেসিক সাবজেক্টের অনেক স্পেশালিস্টের ঘাটতি রয়েছে। আমরা এই ঘাটতিগুলো পূরণ করার চেষ্টা করছি।’
‘প্রতিটি বিভাগে আমরা ক্যানসার ইউনিট, কিডনি ইউনিট, হার্ট ইউনিট করার কাজ শুরু করেছি। কারণ, আমরা দেখেছি কত মানুষ কিডনি ডায়ালাইসিসের জন্য মৃত্যুবরণ করে। গরিব লোকজন তো পায়ই না। তাদের ঢাকায় আসাও সম্ভব নয়। সপ্তাহে দুই-তিনদিন ডায়ালাইসিস লাগে, দরিদ্রদের পক্ষে নিয়মিত ঢাকায় আসা সম্ভব নয়। সেজন্য বিভাগীয় পর্যায়ে আমরা কিডনি ডায়ালাইসিস ইউনিট স্থাপন করছি। শুধু তাই নয় আমরা প্রতিটি জেলা হাসপাতালে ১০ বেডের আইসিইউ ও ১০ বেডের ডায়ালাইসিস ইউনিট স্থাপনের কাজ শুরু করে দিয়েছি’, বলেন মন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পরবর্তী পরিকল্পনা হলো, আমরা বিভাগীয় পর্যায়ে আরও আটটি হাসপাতাল তৈরি করব। তার মধ্যে একটি থাকবে অর্থোপেডিক ইউনিট, আরেকটি হবে নিউরোসায়েন্স ইউনিট এবং আরেকটি হবে মেন্টাল হেলথ ইউনিট।’
জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমরা চিন্তা করছি হাসপাতালগুলোকে ডিসেন্ট্রালাইজড (বিকেন্দ্রীকরণ) করে দেওয়ার জন্য। সেটি হবে বিভাগভিত্তিক, ঢাকামুখী নয়। আমাদের যে জনবল রয়েছে, তা সুষম রেশিও অনুযায়ী নেই। দেখা গেল এনেসথেসিস্ট আছে ৫০০ জন, আর সার্জন হলো দুই হাজার। আবার দেখা গেল গাইনোলজিস্ট যা আছে সেই তুলনায় সার্জন কম। আমাদের এই বিষয়গুলো ঠিক করতে হবে। আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।’
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের চাইল্ড এডোলেসেন্ট অ্যান্ড ফ্যামিলি সাইকিয়াট্রির সহযোগী অধ্যাপক ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এএইচএম এনায়েত হোসেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি ডা. বার্ন জং রানা, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, স্বাস্থ্য অধিদফতরের লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিনসহ অন্যরা।
সারাবাংলা/এসবি/এমও