শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে প্রধান বিচারপতির শ্রদ্ধা
১৪ ডিসেম্বর ২০২১ ১২:১৭
ঢাকা: শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুর শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) বেলা পৌনে ১২টায় মিরপুর শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে তিনি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় তিনি শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করেন।
এরপর প্রধান বিচারপতি শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন।
এর আগে সকালে মিরপুর শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তাদের সামরিক সচিবরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এদিন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পর মিরপুর শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে হাজারো জনতান ঢল নামে।
শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শেষ ভাগে এদেশের দোসরদের সহযোগিতায় পাক হানাদার বাহিনী হত্যা করেছিল শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, সাংবাদিকসহ হাজারো বুদ্ধিজীবীকে। সেই থেকে ১৪ ডিসেম্বর দিনটিকে জাতি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে, পালন করে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে।
করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে গত বছরের ন্যায় এ বছরও রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শারীরিকভাবে উপস্থিত না হয়ে তাদের পক্ষে প্রতিনিধিরা (সামরিক সচিব) শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী পরিকল্পিতভাবে বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তানদের নিধনে মাঠে নামে। রাতের অন্ধকারে বাসা কিংবা কর্মস্থল থেকে চোখ বেঁধে নিয়ে তারা শিক্ষাবিদ, গবেষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, কবি ও সাহিত্যিকদের হত্যা করে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নিজেদের পরাজয় নিশ্চিত জেনেই পাকিস্তানি বাহিনী ওই নিধনযজ্ঞ চালায়; তাদের উদ্দেশ্য ছিল স্বাধীনতার পর যেন বাংলাদেশ যাতে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে- তা নিশ্চিত করা। এ হত্যাকাণ্ডের উদ্দেশ্য ছিল বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করা। দেশের নানা জায়গায় হত্যাযজ্ঞ চললেও মূল হত্যাযজ্ঞ চলে রাজধানীর রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে।
শরীরে নিষ্ঠুর নির্যাতনের চিহ্নসহ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের লাশ পাওয়া যায় মিরপুর ও রায়েরবাজার এলাকায়। পরে তা বধ্যভূমি হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠে। সেই থেকে ১৪ ডিসেম্বর দিনটিকে জাতি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে, পালন করে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে।
দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের লক্ষ্যে দিনব্যাপী জাতীয় কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক, সাংস্কৃতি ও পেশাজীবী সংগঠন নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিবসটি উপলক্ষে পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।
সারাবাংলা/কেআইএফ/এসএসএ