পরিচ্ছন্নতা কর্মীকে মারধর, সাবেক কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে মামলা
১৪ ডিসেম্বর ২০২১ ১৮:৩৮
চট্টগ্রাম ব্যুরো: পরিচ্ছন্নতা তত্ত্বাবধায়ককে মারধরের অভিযোগে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) সাবেক কাউন্সিলরসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশ অভিযুক্ত দুই জনকে গ্রেফতার করেছে।
মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে নগরীর চান্দগাঁও থানার নূর নগর হাউজিং সোসাইটি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন চসিকের ছয় নম্বর পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর হাসান লিটন এবং মিজানুর রহমান, আব্দুর রহমান, মো. বাদশা ও মো. মোরশেদ। এদের মধ্যে মিজান ও মোরশেদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হাসান লিটন পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ড বিএনপি এবং নূর নগর হাউজিং সোসাইটি প্লট কল্যাণ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক।
মারধরের শিকার হয়েছেন পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ডের পরিচ্ছন্ন তত্ত্বাবধায়ক সবুক্তগীন মাহমুদ তায়েছ। তিনি জানান, ষোলশহরে বির্জা খাল থেকে মাটি তুলে নুর নগর হাউজিংয়ে ফেলার জন্য গেলে তাদের বাধা দেওয়া হয়। তারা সেখান থেকে এক কিলোমিটার এলাকায় চলে যান। উপ প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তার নির্দেশে সেখানে সড়কের পাশে তারা মাটিগুলো রাখেন। তখন হাসান লিটনের নেতৃত্বে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। তায়েছকে শার্টের কলার ধরে টেনে নিয়ে মারধর করা হয়। ট্রাকের চালকের চাবি কেড়ে নেওয়া হয়।
উপ প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মো. মোরশেদুল আলম সারাবাংলাকে বলেন, ‘বিভিন্ন খাল থেকে মাটি তুলে আমরা খালি জায়গায় রাখি পানি ঝরে যাবার জন্য। বির্জা খাল থেকে কিছু মাটি উত্তোলনের পর সেগুলো নুর নগর হাউজিং সোসাইটিতে রাখার জন্য গেলে বাধা দেওয়া হয়। বাধা পেয়ে এক কিলোমিটার এলাকায় রাখার পর সেখানেও হামলা চালানো হয়। অথচ মাটিগুলো পানি ঝরে গেলেই আমরা সিটি করপোরেশনের ল্যান্ডফিলে নিয়ে যেতাম। মেয়র মহোদয়ের নির্দেশে মামলা দায়ের করা হয়েছে।’
চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঈনুর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগ পেয়েই তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে দু’জনকে গ্রেফতার করেছি। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।’
সারাবাংলা/আরডি/একেএম