ঢাকা: সারা দেশে অবৈধ ব্যাটারি চালিত সব ইজিবাইক চিহ্নিত করে অপসারণ করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ব্যাটারি চালিত অবৈধ ইজিবাইক আমদানি এবং ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক তৈরি বন্ধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন।
শিল্প সচিব, সড়ক পরিবহন ও সেতু সচিব, বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি, পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন সচিব, বিআরটিএ, এনবিআর ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আতিক তৌহিদুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত।
আইনজীবী আতিক তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘সারাদেশের সড়ক-মহাসড়কে চলাচলরত ব্যাটারিচালিত অবৈধ ইজিবাইক চিহ্নিত করে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশে এখন ব্যাটারি চালিত অবৈধ ইজিবাইকের সংখ্যা প্রায় ৪০ লাখ। এই ইজিবাইকগুলো অবৈধভাবে বিদ্যুৎ দিয়ে চার্জ দেওয়া হয়। এর থেকে সরকার কোনো রাজস্ব পায় না। এ ছাড়া এসব ব্যাটারি পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। মানবদেহের জন্যও ক্ষতিকারক। এসব বিবেচনায় ব্যাটারি চালিত অবৈধ ইজিবাইক চলাচল ও তৈরি বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করা হয়।’
আদালত সড়ক-মহাসড়ক থেকে অবিলম্বে ব্যাটারি চালিত অবৈধ ইজিবাইক চিহ্নিত করে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে রিটকারীদের দায়ের করা দুটি আবেদন নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন।
শিল্প মন্ত্রণালয় ও এনবিআরকে এসব আবেদন নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে।
এর আগে, চলতি মাসের ১১ ও ১২ ডিসেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে গত ১৩ ডিসেম্বর রিট আবেদন দায়ের করা হয়।
বাঘ ইকো মটর্সের সভাপতি কাজী জসিমুল ইসলাম হাইকোর্টে রিট আবেদনটি দায়ের করেন।