আস্থার প্রতীক হয়ে বিজিবি অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখবে: প্রধানমন্ত্রী
১৯ ডিসেম্বর ২০২১ ১৪:৩৪
ঢাকা: শৃঙ্খলা এবং চেইন অব কমান্ড যে কোনো বাহিনীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কখনো শৃঙ্খলার ব্যাঘাত ঘটাবেন না। এতে নিজেদের ক্ষতি হবে। চেইন অব কমান্ড মেনে চলবেন। কর্তৃপক্ষের আদেশ মেনে চলা প্রতিটি শৃঙ্খলা বাহিনীর আবশ্য কর্তব্য।
রোববার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) দিবস-২০২১ উদযাপন অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে তিনি একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের জন্য তার সরকারের মেয়াদে নানামুখি সমস্যার সমাধান করা ও পদক্ষেপ গ্রহণ করে তা বাস্তবায়নের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
তিনি বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর প্রতি প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমার বিশ্বাস জাতির পিতার প্রত্যাশিত আধুনিক সীমান্তরক্ষী বাহিনী হিসেবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে তার অভীষ্ট লক্ষ্যে এবং বাংলাদেশের মানুষের আস্থার প্রতীক হয়ে সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে তার অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনাদের কাছে আমাদের প্রত্যাশা, আপনারা দেশপ্রেম, সততা শৃঙ্খলা নিয়ে নিজ দায়িত্ব পালন করবেন। একটি কথা সব সময় মনে রাখতে হবে, ‘শৃঙ্খলা এবং চেইন অব কমান্ড’ শৃঙ্খলা বাহিনীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি। কখনো শৃঙ্খলার ব্যাঘাত ঘটাবেন না। এতে নিজেদের ক্ষতি হবে। চেইন অব কমান্ড মেনে চলবেন। কর্তৃপক্ষের আদেশ মেনে চলা প্রতিটি শৃঙ্খলা বাহিনীর আবশ্য কর্তব্য।’
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের মেয়াদে দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়ন অগ্রগতি ও অর্জনের প্রসঙ্গও তুলে ধরেন তিনি।
সরকার প্রধান শেখ হাসিনা বলেন, ‘আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের রোল মডেল। আমরা বিদ্যুৎ, যোগাযোগ এবং তথ্যপ্রযুক্তিসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটাতে সক্ষম হয়েছি। আমরা স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ গড়ে মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশে উন্নীত করে গিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকার আসার পর থেকে উন্নয়নের কর্মধারা অব্যাহত রেখে আজকে আমরা এই ২০২১ সালে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। আমাদের আরও সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।’
বাংলাদেশকে আমরা উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা লক্ষ স্থির করেছি, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশ হবে। তাছাড়া বাংলাদেশ একটি বদ্বীপ। এই বদ্বীপটাকেও আরও উন্নত করবার জন্য, আমাদের প্রজন্মের পর প্রজন্ম যেন একটি সুন্দর জীবন পায়, সেই দিকে লক্ষ রেখে আমরা ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ গ্রহণ করে তা বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেছি।’
‘আগামী প্রজন্মের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত আত্মমর্যাদাশীল উন্নত-সমৃদ্ধ স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ইনশাল্লাহ বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।’
বিজিবি প্রান্তে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও বিজিবির উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/এনআর/একে