Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

প্রস্তুতি সম্পন্ন না হওয়ায় কার্ডের মাধ্যমে দেওয়া হবে বুস্টার ডোজ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১৯ ডিসেম্বর ২০২১ ১৪:৩৪

ঢাকা: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ৬০ বছরের বেশি যাদের বয়স তাদের বুস্টার ডোজ দিতে যেসব প্রস্তুতি দরকার, তা আমরা নিচ্ছি। তবে আমাদের প্রস্তুতি এখনো পুরোপুরি শেষ হয়নি। আমরা সুরক্ষা অ্যাপ আপডেট করছি। আইসিটি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে ২৮ ডিসেম্বরের আগে তারা আপডেট করতে পারবে না। সুরক্ষা অ্যাপে এখন নিবন্ধন করা সম্ভব না হলেও বুস্টার ডোজের কার্যক্রম চলমান থাকবে। কার্ডের মাধ্যমে ভ্যাকসিন নেওয়া যাবে।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর মহাখালীর বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিসিয়ান্স অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস) অডিটোরিয়াম হলে ‘বুস্টার ডোজ প্রদান কার্যক্রম’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

জাহিদ মালেক বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন ভ্যাকসিনের জন্য যত টাকা লাগে তা সরকার দেবে। বুস্টার দেওয়া হলেও ভ্যাকসিনের কোনো ঘাটতি আমাদের নেই। বুস্টার ডোজের পাশাপাশি ভ্যাকসিনের অন্যান্য সকল কার্যক্রমও চলমান থাকবে। দেশে এখন পর্যন্ত যারা কোভিডে মারা গেছেন তাদের ৮৫ শতাংশ মানুষই ষাটোর্ধ। কাজেই তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে আগে।

তিনি বলেন, ৬০ বছরের বেশি বয়সী নাগরিকদের বুস্টার ডোজ দিতে যেসব প্রস্তুতি দরকার আমরা নিচ্ছি। আমাদের প্রস্তুতি এখনো পুরোপুরি শেষ হয়নি। আমরা সুরক্ষা অ্যাপ আপডেট করছি। আইসিটি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে ২৮ ডিসেম্বরের আগে তারা আপডেট করতে পারবে না। সুরক্ষা অ্যাপে এখন নিবন্ধন করা সম্ভব না হলেও বুস্টার ডোজের কার্যক্রম চলমান থাকবে। কার্ডের মাধ্যমে ভ্যাকসিন নেওয়া যাবে।

তিনি আরও বলেন, যদি আমরা ৭০ শতাংশ ব্যক্তিদের ভ্যাকসিন দিতে চাই তাহলে আমাদের ২৪ কোটি ভ্যাকসিন লাগবে। এই ৭০ শতাংশ হলো ১২ কোটি মানুষ। ৭০ শতাংশ মানুষকে ২ ডোজ ভ্যাকসিন দিতে আমাদের ১৩ কোটি ভ্যাকসিন লাগবে। মাঠ পর্যায়ে এবং হাতে যে ভ্যাকসিন আছে সেটা হলো ৪ কোটি ৬৩ লাখ। ডিসেম্বর নাগাদ আরও ৬ কোটি ৫৫ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন হাতে পাওয়া যাবে। ২০২২ সালের প্রথম কোয়ার্টারে আরও ৯ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন আমরা পাব। ৩১ মার্চ নাগাদ সম্ভাব্য প্রাপ্তি (অপচয়সহ) ১৬ কোটি ৮৫ লাখ। ৭০ শতাংশ কাভারেজের জন্য এপ্রিলের মধ্যে আমাদের প্রয়োজন হবে ১৩ কোটি ডোজ। তখন আমাদের হাতে থাকবে সাড়ে ১৬ কোটির বেশি। ভ্যাকসিনের কোনো ঘাটতি আমাদের হবে না।

বিজ্ঞাপন

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বেশ কয়েক ধরনের ভ্যাকসিন আমরা দিয়েছি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রটোকল অনুযায়ী দিয়েছি। বুস্টার ডোজও আমরা তাদের প্রটোকল অনুযায়ী দেবো। প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা ফাইজারের ভ্যাকসিন দেবো। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, যারা অন্যান্য ভ্যাকসিন নিয়েছে তারাও বুস্টার হিসেবে ফাইজারের ভ্যাকসিন নিতে পারবে। আমরা শুনেছি মডার্নাও বুস্টার ডোজ হিসেবে দেওয়া যায়। আমাদের স্টকেও মডার্না আছে।

দেশের বয়স্ক মানুষ, ফ্রন্টলাইনার হিসেবে যেসব ডাক্তার, নার্স, সরকারি কর্মকর্তা এবং সাংবাদিকরা কাজ করে যাচ্ছেন তাদের বুস্টার ডোজ দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ভ্যাকসিনের ফলে দেশ নিরাপদে আছে। মৃত্যুর সংখ্যা এক ডিজিটেই আছে। গতকাল এক শতাংশেরও নিচে এসেছে। এত জনবহুল দেশে খুবই বিরল একটি বিষয়। সবার সহযোগিতায় আমরা কাজটি করে যাচ্ছি। প্রতিটি মানুষকেই যারা প্রাপ্য ভ্যাকসিন দেব।

সারাবাংলা/এসবি/এসএসএ

বুস্টার ডোজ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর