যানজট কমিয়ে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাবে ‘ঢাকা নগর পরিবহন’
২০ ডিসেম্বর ২০২১ ১২:৩২
ঢাকা: প্রায় দুই কোটি মানুষের বসবাসের শহর রাজধানী ঢাকা। বিশ্বের ঘন জনবসতিপূর্ণ শহরগুলোর মধ্যে যার অবস্থান প্রথম সারিতেই। আন্তর্জাতিক মানদণ্ডেও বসবাসের অযোগ্য ঢাকা। তবুও জীবিকার তাগিদে বিভিন্ন গ্রাম, শহর থেকে প্রতিনিয়ত ঢাকায় ছুটছে মানুষ। কিন্তু এই ছুটে চলায় লাগাম টেনে ধরে যানজট। দীর্ঘ যানজটে নষ্ট হয় কর্মঘণ্টা, ব্যবসায় ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি শারীরিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ সমস্যা দূর করতে নানামুখি পদক্ষেপ নিতে দেখা গেছে সরকারকে। কিন্তু যানজট তো কমেইনি বরং দিনকে দিন ভয়াবহ হচ্ছে।
এবার বাস রুট র্যাশনালাইজেশন অর্থাৎ কয়েকটি কোম্পানির মাধ্যমে রাজধানীতে গণপরিবহন পরিচালনার উদ্যোগ নিয়েছে দুই সিটি করপোরেশন। যার সূচনা হচ্ছে আগামী ২৬ ডিসেম্বর।
‘ঢাকা নগর পরিবহন’ নামে এই উদ্যোগের শুরু হবে ৫০টি বাস চলাচলের মধ্য দিয়ে। প্রথম পর্যায়ে কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর থেকে মতিঝিল হয়ে নারায়নগঞ্জের কাঁচপুর পর্যন্ত চলবে এই বাস।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস জানিয়েছেন, এ উদ্যোগের ফলে রাজধানীর গণপরিবহন খাতে দীর্ঘদিন জিইয়ে থাকা বিশৃঙ্খলার সমাপ্তি ঘটবে।
মেয়র আরও বলেন, ‘এই উদ্যোগ পুরোপুরি কার্যকর করা গেলে শুধু যানজটই কমবে না, মানুষের যাতায়াত সহজ ও আরামদায়ক হবে।’
রাজধানীর যানজট কমাতে বাস রুট রেশনালাইজেশন বা কোম্পানির মাধ্যমে বাস পরিচালনার উদ্যোগ নেওয়া হয় ২০১৮ সালের ৯ সেপ্টেম্বরে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের নেওয়া পদক্ষেপ বিবেচনায় নিয়ে তখন বাস রুট র্যাশনালাইজেশন করার জন্য ১০ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই কমিটি দীর্ঘ পর্যালোচনা করে বর্তমানে রাজধানীতে আড়াই হাজার কোম্পানির পরিবর্তে ২২টি কোম্পানির মাধ্যমে বাস চলাচল করার সুপারিশ করে। আর রাজধানীতে চলতে থাকা নিবন্ধিত ৩০ হাজার ২৭৪ বাসের পরিবর্তে ৯ হাজার ২৭ টি বাস পরিচালনার সুপারিশ করা হয়।
এই ৯ হাজারের মধ্যে আবার ৬ হাজার ৪৫৭ টি বাস পুরনো থেকে আর নতুন ২ হাজার ৭৬১ টি নতুন নামানোর সুপারিশ করা হয়। সঠিকভাবে পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রতিটি কোম্পানিতে ৫০০টির কম বাস রাখা হবে। কোম্পানিগুলোকে আইনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি কর্তৃপক্ষ গঠনের সুপারিশ করা হয়েছে।
ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ— ডিটিসিএ’র তথ্য মতে রাজধানীতে বর্তমানে থাকা ২৯১ বাস রুট কমিয়ে রেশনালাইজেশন কমিটি ৪২ রুটে আনার সুপারিশ করেছে। এই রুটগুলোকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। আরবান, সাব-আরবান এবং ঢাকা চাকা ক্লাস্টার। এই ৪২ রুটে ৬ রঙের বাস চলাচলের সুপারিশ করা হয়েছে।
আরবান ক্লাস্টার
গোলাপি: এ রঙের বাস থাকবে ৮৮৩ টি। এগুলো ১ থেকে ৪ নম্বর রুটে চলাচল করবে।
এরমধ্যে ১ নম্বর রুট হবে আব্দুল্লাহপুর- কুড়িল- মহাখালী- নাবিস্কো- মগবাজার- কাকরাইল, সায়েদাবাদ এবং সদরঘাট।
রুট নম্বর ২ এ আব্দুল্লাহপুর- কুড়িল- মহাখালী-ফার্মগেট- শাহবাগ- পল্টন- সায়েদাবাদ, কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার এবং ঝিলমিল প্রজেক্ট। রুট নম্বর তিন এ আব্দুল্লাহপুর- কুড়িল- বাড্ডা- রামপুরা- মালিবাগ- রেলগেট- মৌচাক- কাকরাইল – গোলাপশাহ মাজার- সদরঘাট – ঝিলমিল প্রজেক্ট।
রুট নম্বর ৪ এ আব্দুল্লাহপুর- বেড়িবাঁধ, মাজার রোড- গাবতলী- শিকদার মেডিকেল – কামরাঙ্গীর চর- বাবু বাজার।
নীল: নীল রঙের বাস থাকবে ১৪৩৩ টি বাস। ৫ থেকে ৮ নম্বর রুটে চলবে এসব বাস। ৫ নম্বর রুটে আছে আব্দুল্লাহপুর- কুড়িল- নতুনবাজার- বাড্ডা, মৌচাক- কাকরাইল – মৎস ভবন- শাহবাগ, সায়েন্স ল্যাব, আজিমপুর।
৬ নম্বর রুটে আব্দুল্লাহপুর- কুড়িল- মহাখালী, বিজয় স্মরণি, মানিক মিয়া এভিনিউ, সোবহানবাগ, সায়েন্সল্যাব, আজিমপুর।
রুট নম্বর ৭ এ আব্দুল্লাহপুর, কুড়িল, ফ্লাইওভার, ইসিবি চত্তর, কালশি মিরপুর ১০, মিরপুর -১, টেকনিক্যাল, গাবতলী এবং হেমায়েতপুর।
রুট ৮ এ হেমায়েতপুর, গাবতলী, শ্যামলী, শিশু মেলা, আগারগাঁও, বিজয় স্মরণি, মহাখালী, বনানী, শেওড়াপাড়া, কুড়িল এবং আব্দুল্লাহপুর।
মেরুন: মেরুন রঙের বাস থাকবে ১১০৮টি। এই বাস চলবে ৯ থেকে ১৩ নম্বর রুটে। ৯ নম্বর রুটে হেমায়েতপুর, গাবতলী, ফার্মগেট, বাংলামোটর, মগবাজার, মৌচাক, খিলগাঁও ফ্লাইওভার, মতিঝিল, সায়েদাবাদ এবং সাইনবোর্ড।
রুট নম্বর ১০ এ হেমায়েতপুর, গাবতলী, ফার্মগেট, শাহবাগ, গুলিস্তান, মতিঝিল, সায়েদাবাদ, সাইনবোর্ড, ধলেশ্বর এবং কাঁচপুর।
রুট নম্বর ১১ তে হেমায়েতপুর, গাবতলী, মতিঝিল, ফুলবাড়িয়া, কাঁচপুর, নারায়নগঞ্জ। ১২ নম্বর রুটে হেমায়েতপুর, গাবতলী, শ্যামলী, আসাদ গেট, কলাবাগান, সায়েন্সল্যাব, শাহবাগ, গুলিস্তান, মতিঝিল, সদর ঘাট।
১৩ নম্বর রুটে হেমায়েতপুর, গাবতলী, টেকনিক্যাল, শ্যামলী, আগারগাও, বিজয় স্মরনী, মহাখালী, গুলশান-১, বাড্ডা, রামপুরা, স্টাফ কোয়াটার।
কমলা: কমলা রঙের ১১২২ টি বাস চলবে ১৪ থেকে ২০ নম্বর রুটে।
রুট ১৪ নম্বরে মিরপুর চিড়িয়াখানা, মিরপুর-১, টেকনিক্যাল, শ্যামলী, আসাদগেট, সায়েন্সল্যাব, নিউমার্কেট, আজিমপুর, ফুলবাড়িয়া, তাতিবাজার, বাবুবাজার, কেরানীগঞ্জ, বান্দুরা। রুট ১৫ তে রয়েছে মিরপুর ১২, মিরপুর ১, ১০, শেওড়াপাড়া, আগারগাও, ফার্মগেট, শাহবাগ, পল্টন, গোলাপশাহ মাজার, তাঁতিবাজার, রায়সাহেব বাজার, সদরঘাট।
রুট নম্বর ১৬ তে মিরপুর ১৪, মিরপুর ১০, শেওড়াপাড়া, খামারবাড়ি, ফামর্গেট, বাংলামোটর, মগবাজার, মৌচাক, কমলাপুর, শাপলাচত্বর, দয়াগঞ্জ, পোস্তগোলা।
রুট নম্বর ১৭ তে, গাবতলী, মিরপুর-১, কালশী, জিল্লুর রহমান ফ্লাইওভার, কুড়িল ফ্লাইওভার, নতুন বাজার, বেরাইদ, বাড্ডা, রামপুরা সেতু,বনশ্রী, স্টাফ কোয়াটার।
রুট ১৮ তে মিরপুর ১২, ১০, শেওড়াপাড়া, ফার্মগেট, বাংলামোটর, শাহবাগ, পল্টন, গুলিস্তান, শাপলাচত্বর, কমলাপুর, টিটিপাড়া, বাসাবো, খিলগাঁও, তালতলা।
রুট ১৯ এ মিরপুর চিড়িয়ানা, মিরপুর ১, টেকনিক্যাল, শ্যামলী, সায়েন্সল্যাব, শাহবাগ, পল্টন, গুলিস্তান, শাপলাচত্বর, কমলাপুর, টিটিপাড়া, খিলগাঁও, তালতলা।
রুট ২০ তে মিরপুর-১২, ইসিবি চত্তর মিরপুর ১০, কাজিপাড়া, শেওড়াপাড়া, আগারগাও, মানিক মিয়া এভিনিউ, সোবহানবাগ, সায়েন্সল্যাব, নিউমার্কেট এবং আজিমপুর।
সবুজ: সবুজ রঙে ১৪৩৩ টি বাস ২১ থেকে ২৮ রুটে চলবে।
রুট ২১ এ বসিলা, ট্রাক স্ট্যান্ড, শঙ্কর জিগাতলা, সায়েন্সল্যাব, মৎসভবন, কাকরাইল, শাপলাচত্বর, হানিফ ফ্লাইওভার, সাইনবোর্ড, নারায়নগঞ্জ।
রুট ২২ এ ঘাটারচর, বসিলা, ট্রাকস্ট্যান্ড, আসাদগেট, ফার্মগেট, শাহবাগ, পল্টন, গুলিস্তান, মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার, মৃধাবাড়ি ব্রিজ, রুপশী, বুলতা।
রুট ২৩ এ ঘাটারচর, বসিলা, ট্রাকস্ট্যান্ড, আসাদগেট, সায়েন্সল্যাব, শাহবাগ, পল্টন, শাপলাচত্বর, কমলাপুর, সায়েদাবাদ, সাইনবোর্ড, চট্টগ্রাম রোড, মেঘনা ঘাট।
রুট ২৪ এ ঘাটারচর, বসিলা, ট্র্যাকস্টান্ড, জাপান গার্ডেন সিটি, শ্যামলী, শিশুমেলা, আগারগাও, কাজিপাড়া, কালশি, জিল্লুর রহমান ফ্লাইওভার, আবদুল্লাহপুর।
রুট নম্বর ২৫ এ ঘাটারচর, বসিলা, ট্রাকস্ট্যান্ড, টাউন হল, আসাদ গেট, মানিক মিয়া এভিনিউ, বিজয় স্মরনী, মহাখালী, কাকলি, কুড়িল, আব্দুল্লাহপুর।
রুট ২৬ এ এ ঘাটারচর, বসিলা, ট্রাকস্ট্যান্ড, টাউন হল, আসাদ গেট, কলাবাগান, সায়েন্সল্যাব, শাহবাগ, কাকরাইল, শাপলাচত্বর, দয়াগঞ্জ, পোস্তগোলা, নারায়নগঞ্জ।
রুট ২৭ এ ঘাটারচর, শিয়া মসজিদ, শ্যামলী, আগারগাও, বিজয় সরনি,মহাখালী, গুলশান-১, রামপুরা সেতু, বনশ্রী, স্টাফ কোয়াটার।
রুট ২৮ এ ঘাটারচর, মোহাম্মদপুর, বাসস্ট্যান্ট, জিগাতলা, সায়েন্সল্যাব, শাহবাগ, মৎস ভবন, কাকরাইল, মৌচাক, খিলগাঁও তালতলা, স্টাফ কোয়াটার।
বেগুনী: বেগুনী রঙের গাড়ি থাকবে ১০৮৯ টি। এগুলো ২৯ থেকে ৩৪ নম্বর রুটে চলবে।
রুট ২৯ এ কাঁচপুর, যাত্রাবাড়ি, বাসাবো, মালিবাগ, নতুনবাজার, কুড়িল,বিমানবন্দর, আব্দুল্লাহপুর।
রুট ৩০ এ ডেমরা, কোনাপাড়া, মৃধাবাড়ি, সায়েদবাদ, মতিঝিল, ফকিরাপুল, মগবাজার, সাতরাস্তা, মহাখালী, বনানী, শেওড়া, আব্দুল্লাহপুর।
রুট ৩১ এ কাঁচপুর, যাত্রাবাড়ি, গুলিস্তান, পল্টন, শাহবাগ, ফার্মগেট, শেওড়াপাড়া, মিরপুর ১০, ভাষানটেক।
রুট ৩২ এ ডেমরা ঘাট কোনাপাড়া, মৃধাবাড়ি, সায়েদাবাদ, জয়কালী মন্দির, ইত্তেফাক, শাপলাচত্বর, শাহবাগ, ফার্মগেট, আসাদগেট, শ্যামলী, টেকনিকাল, মিরপুর- ১, চিড়িয়াখানা।
রুট ৩৩ এ নারায়ণগঞ্জ, জুরাইন, যাত্রাবাড়ি, গুলিস্তান, পল্টন, কাকরাইল, মগবাজার, সাতরাস্তা, মহাখালী, কাকলি, জিল্লুর রহমান ফ্লাইওভার, কালশী, মিরপুর-১০, মিরপুর-১, দিয়াবাড়ি।
রুট ৩৪ এ সাইনবোর্ড, যাত্রাবাড়ী, গুলিস্তান, পল্টন শাহাবাগ, সায়েন্সল্যাব, আসাদগেট, শ্যামলী, টেকনিক্যাল, মিরপুর-১, মিরপুর- ১০, মিরপুর-১২।
সাব আরবান ক্লাস্টার: এই অংশের ১০৮৯ টি বাস ৩৫ থেকে ৩৭ নম্বর রুটে চলবে। রুট ৩৫ এ শ্রীপুর, কাপাসিয়া, গাজীপুর, মৌচাক, কোনাবাড়ি, গাজীপুর, চৌরাস্তা, আবদুল্লাহপুর।
রুট ৩৬ এ ঘোড়াশাল, কালিগঞ্জ, মীরের বাজার এবং আব্দুল্লাহপুর।
রুট ৩৭ এ কালিয়াকৈর, চন্দ্রা, আশুলিয়া, দোহার, আবদুল্লাহপুর। আর ৩৮ থেকে ৪০ নম্বর রুট নর্থ ওয়েস্টে চলবে ৯৯২টি বাস।
৩৮ নম্বর রুটে নন্দনপার্ক, ইপিজেড, বাইপাইল, ফ্যান্টাসি কিংডম, আশুলিয়া, দোহার, বেরিবাধ, মাজার রোড।
রুট ৩৯ এ চন্দ্রা, নন্দন পার্ক, ইপিজেড, বাইপাইল, নবীনগর, সাভার, হেমায়েতপুর।
রুট ৪০ এ পাটুরিয়া, মানিকগঞ্জ, কালামপুর, ধামরাই, নবীনগর, সাভার, হেমায়েতপুর। আর সাউথে ৪১ ও ৪২ নম্বর রুটে চলবে ৯৯টি বাস। রুট ৪১ এ ঝিলমিল প্রজেক্ট, রুহিতপুর, নবাবগঞ্জ, দোহার, বান্দুরা, হরিরামপুর এবং ৪২ নম্বর রুট হবে হরিরামপুর, শ্রীনগর, মাওয়া ও লৌহজং।
ঢাকা চাকা ক্লাস্টার: এখানে চলবে ৫২ টি বাস। রুট হবে নতুনবাজার নতুনবাজার থেকে পুলিশ প্লাজা। যা বর্তমানে চলছে।
রোববার (১৯ ডিসেম্বর) বাস রেশনালাইজেশন কমিটির বৈঠক শেষে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ফজলে নুর তাপস জানিয়েছে, এই প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য ট্রান্সসিলভার ২০টি বাসের সম্মতি দেওয়া হয়েছে। মোস্তফা হেলাল কবিরের পাঁচটি বাসে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। জাহান এন্টারপ্রাইজের ৬০ টি বাস, এইচআর এন্টারপ্রাইজের পাঁচটি, সব মিলিয়ে ৯০ টি বাস। এছাড়া বিআরটিসির জন্য ১০ বাস থাকবে নির্ধারিত। এভাবে ১০০ টি বাস নিয়ে যৌথ মূলধনের অংশীদারিত্ব চুক্তি হবে। তবে আগামী ২৬ ডিসেম্বর ট্রান্সসিলভার ২০টি এবং বিআরটিসির ৩০ টি ডাবল ডেকার বাস মোট পঞ্চাশটি বাস চলাচলের মধ্য দিয়ে এ উদ্যোগের সূচনা হবে বলে জানান মেয়র। বাকি কার্যক্রম আগামী ২ মাসের মধ্যে শেষ করে এ উদ্যোগ শতভাগ বাস্তবায়ন করা যাবে।
আরও জানান, কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী নতুন পদ্ধতিতে বাসের কোনো ম্যানুয়াল টিকেট থাকবে না। স্মার্টকার্ডের মাধ্যমে বাসগুলোতে টিকেটিং সিস্টেম করা হবে। পাশাপাশি ভাড়া নীতিও প্রণয়ন করা হবে। ফলে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বা যাত্রীদের সঙ্গে হেল্পারদের বাক বিতন্ডার কোনো অবকাশ থাকবে না। তবে সেক্ষেত্রে বিদ্যমান ভাড়াই বহাল থাকবে আপাতত।
পরিকল্পনায় নতুন করে ১০ টার্মিনাল নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছে। সম্ভাব্য টার্মিনাল হতে পারে কেরাণীগঞ্জের বাঘৈর, হেমায়েতপুর, ভিরুলিয়া, গাজীপুর, বাইপাইল, কাঞ্চন, কাঁচপুর উত্তর, কাঁচপুর দক্ষিণ, আটিবাজারের ভাওয়াল এবং ভুলতা।
সারাবাংলা/জেআর/একে