বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিলেন চবির তিন শিক্ষার্থী
২০ ডিসেম্বর ২০২১ ১৯:২০
চট্টগ্রাম ব্যুরো: ‘ষড়জ অ্যাডভেঞ্চার’ ও ‘এক্সট্রিম বাংলা’ আয়োজিত ‘ফরচুন বাংলা চ্যানেল-২০২১’ এর ১৬তম আসরে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) তিন শিক্ষার্থী। এতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মোট ৮০ জন সাঁতারু অংশ নেন।
সোমবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে টেকনাফ শাহ পরীর দ্বীপ থেকে শুরু হয়ে সেন্টমার্টিন পর্যন্ত ১৬.১ কিলোমিটার সাঁতার কেটে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেন তারা।
চবির তিন শিক্ষার্থী হলেন- ফিজিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের মো সালাহ উদ্দিন, একই বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শফিউল হাসান ও পালি বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের উজ্জ্বল চৌধুরী মারমা।
এছাড়াও চবির সাবেক এক শিক্ষার্থী এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেন বলে জানা গেছে। তিনি পরিসংখ্যান বিভাগের ১৯৯২-৯৩ শিক্ষাবর্ষের মোহাম্মদ আজাদ।
এদের মধ্যে মো. সালাহ্ উদ্দিনের সময় লেগেছে ৫ ঘণ্টা ৩৩ মিনিট। তিনি প্রতিযোগিদের মধ্যে ৫ম হয়েছেন। বাকি দুইজন উজ্জ্বল মারমার সময় লেগেছে ৬ ঘণ্টা ৩ মিনিট, শফিউল হাসানের সময় লেগেছে ৬ ঘণ্টা ৪৭ মিনিট।
শফিউল হাসান বলেন, ‘আমার সাঁতারের প্রতি খুব আগ্রহ। বাংলা চ্যানেলের কথা প্রথম যখন জানতে পারি। তখন থেকে এই চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার স্বপ্ন দেখি। সেভাবে নিজেকে অনুশীলনের মাধ্যমে তৈরি করছি। আজ (সোমবার) সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।’
উজ্জ্বল চৌধুরী মারমা বলেন, ‘ছোটকাল থেকে সাঁতারে আগ্রহ ছিল। স্কুলে পড়ার সময় সুইমিং ইভেন্ট অংশগ্রহণ করছি। কলেজে পড়ার সময় তেমন সুযোগ হয়নি। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর সুইমিং দলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছি। পরে বাংলা চ্যানেল সম্পর্কে জানতে পারি। বাংলা চ্যানেল, ইংলিশ চ্যানেল কিভাবে পাড়ি দিতে হয় বিভিন্ন ভিডিও দেখতাম। সেভাবে আমি নিজেকে প্রস্তুত করে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার স্বপ্ন দেখি। বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেওয়া দুঃসাহসিক অভিযান ছিল। আমার স্বপ্ন ছিল বলেই সম্ভব হয়েছে। অনেক কষ্ট করে এই বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিতে সক্ষম হয়েছি। আমার খুব ভালো লাগছে।’
সালাহ উদ্দিন বলেন, ‘প্রথম বাংলা চ্যানেলের কথা জানি ২০১৭ সালে। তখন থেকেই স্বপ্ন দেখতাম বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিব। ৫ বছর ধরে সেভাবেই নিজেকে তৈরি করছি। এবারই প্রথম অংশ নিই। সমুদ্রে অনেক বড় ঢেউ ছিল। আর কুয়াশা ও বাতাসের কারণে দিক হারিয়ে ফেলছি। মাঝে মাঝে তো মনে হচ্ছিলো হয়তো এই চ্যালেঞ্জে হেরে যাব। বাবা-মার দোয়া ও আল্লাহর রহমতে সুস্থ ভাবে শেষ করতে পেরে আমি গর্বিত। আমার এই অর্জন আমি আমার বাবা-মাকে উৎসর্গ করছি। সবশেষে মহান আল্লাহর কাছে অশেষ কৃতজ্ঞতা।’
সারাবাংলা/সিসি/এমও
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় তিন শিক্ষার্থী বাংলা চ্যানেল সেন্টমার্টিন