বিভাগীয় প্রধানের অপসারণ চেয়ে আন্দোলনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা
২০ ডিসেম্বর ২০২১ ২০:১১
রংপুর: বিভাগীয় প্রধানের অপসারণ ও শাস্তি নিশ্চিতসহ ১০ দফা দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। সোমবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টা থেকে প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।
দাবিপূরণ না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। এদিকে দাবি পূরণের বিষয়ে বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আশ্বাস দিয়েছেন উপাচার্য।
শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, অর্থনীতি বিভাগের বর্তমান বিভাগীয় প্রধান হিসেবে জনি পারভীন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে লাগাতার অনুপস্থিত থাকছেন। এমনকি কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিত থাকার সময় জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে কাউকে দায়িত্ব দিয়ে যান না। করোনাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ অনলাইনে ক্লাস চালু করলেও তিনি এক বছর সাত মাসে কোনো একাডেমিক সভা আহ্বান এবং শিক্ষকদের সঙ্গে কোনো আলোচনা করেননি। ফলে বিভাগের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘ সেশনজটে পড়েছে।
তারা আরও বলেন, ‘বিভাগের একাডেমিক কমিটির সভায় শিক্ষকদের ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করেন এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিভাগের শিক্ষকদের মতামতের প্রাধান্য না দিয়ে নিজের একক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে অনড় থাকেন। এছাড়াও বিভাগের শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের তিনি শিক্ষকদের বিরুদ্ধে প্ররোচিত করার পাশাপাশি তাদের সঙ্গে সবসময় দুর্ব্যবহার ও অমানবিক আচরণ করেন। অন্যদিকে বেশ কয়েকজন শিক্ষকের পদোন্নতির জন্য অভিজ্ঞতা সনদ ও অগ্রায়নের আবেদন, শ্রান্তি বিনোদনের আবেদনসহ অন্য আবেদন যথাযথ প্রক্রিয়ায় কর্তৃপক্ষের কাছে না পাঠিয়ে দীর্ঘ দেড় বছর আটকে রেখেছেন। তাই জনি পারভীনের বিভাগের পদ থেকে অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।’
এর আগে, গত ১৮ নভেম্বর অর্থনীতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান জনি পারভীনের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা, হয়রানি, অসৌজন্যমূলক আচরণের শিকার হয়েছেন উল্লেখ করে বিভাগের ৮ শিক্ষকের মধ্যে ৬ শিক্ষক তার অপসারণের দাবিতে রেজিস্ট্রার বরাবর আবেদন করেন।
শিকক্ষরা হলেন- অধ্যাপক ড. মোরশেদ হোসেন, সহকারী অধ্যাপক খন্দকার জাহাঙ্গীর আলম, শাফিউল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, বেলাল উদ্দীন এবং প্রভাষক কাজী নেওয়াজ মোস্তফা।
এদিকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে উপাচার্যের পক্ষ থেকে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন শরিফুল ইসলাম যান আন্দোলন স্থলে। সেখানে গিয়ে তিনি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আশ্বাস দেন অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের দাবি-দাওয়া পূরণ করে নেওয়া হবে।
তবে অভিযুক্ত শিক্ষক জনি পারভীন সব অভিযোগ অস্বীকার করে, তিনি নিজেই শিক্ষকদের হ্যারেজমেন্টের শিকার বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘করোনাকালে ক্লাস-পরীক্ষা শুরুর জন্য একাধিকবার মিটিং ডাকলেও ওই ৬ শিক্ষক মিটিংয়ে আসেননি। বিভিন্ন সময় বিভাগের শিক্ষকরাই খারাপ আচরণ করেছেন।’
সারাবাংলা/এমও
অপসারণ বিভাগীয় প্রধান বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক-শিক্ষার্থী