মেজর জিয়া ও আকরামের তথ্য দিলে বড় অংকের পুরস্কার দেবে আমেরিকা
২০ ডিসেম্বর ২০২১ ২১:৪৯
ঢাকা: ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ রায়কে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী বলে সন্দেহভাজন ‘মেজর জিয়া’ নামে পরিচিত সৈয়দ জিয়াউল হক এবং আকরাম হোসেনের ব্যাপারে তথ্য দিলে ৫০ লাখ ডলার পর্যন্ত পুরস্কার ঘোষণা করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের রিওয়ার্ডস ফর জাস্টিস কর্মসূচির এক টুইট বার্তায় জিয়াউল হক ও আকরাম হোসেনের ব্যাপারে কোনো তথ্য জানা থাকলে তা টেক্সট করে পাঠাতে একটি ফোন নম্বর দেওয়া হয়— যা হলো: +১-২০২-৭০২-৭৮৪৩।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের পোস্টারে বলা হয়, ২০১৫ সালের ২৬শে ফেব্রুয়ারি ঢাকায় একটি বইমেলা থেকে বেরিয়ে আসার সময় আল-কায়েদা ভিত্তিক সন্ত্রাসীরা মার্কিন নাগরিক অভিজিৎ রায়কে হত্যা করে এবং তার স্ত্রী রাফিদা বন্যা আহমেদকে আহত করে।
এতে বলা হয়, ‘উক্ত হামলায় তাদের ভূমিকার জন্য বাংলাদেশের একটি আদালতে ছয়জনকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা দেওয়া হয়েছে। ওই আসামীদের মধ্যে দুজন – সৈয়দ জিয়াউল হক (ওরফে মেজর জিয়া) এবং আকরাম হোসেন-এর অনুপস্থিতিতে বিচারকার্য সম্পন্ন হয়েছিল এবং তারা এখনো পলাতক রয়েছেন।’
পোস্টারটিতে বলা হয়, ‘হক, হোসেন বা হামলার সঙ্গে জড়িত অন্য কারো সম্পর্কে আপনার নিকট কোনো তথ্য থাকলে, নিচের নম্বরটি ব্যবহার করে সিগন্যাল, টেলিগ্রাম বা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে আপনার তথ্য আমাদের নিকট প্রেরণ করুন। সেক্ষেত্রে আপনিও পুরস্কার পেতে পারেন।’
পোস্টারের নিচে বাম দিকের কোণায় মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের নাম ও প্রতীক, ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটি সার্ভিস, ও রিওয়ার্ডস ফর জাস্টিসের নাম রয়েছে।
রিওয়ার্ডস ফর জাস্টিস হচ্ছে সন্ত্রাসদমনের কাজে ভূমিকার জন্য পুরস্কার দেওয়ার লক্ষ্যে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের একটি কর্মসূচি। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীদের বিচারের আওতায় আনা এবং যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ব্যক্তি বা সম্পত্তির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিহত করা।
২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে বইমেলা থেকে ফেরার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সামনে অভিজিৎ রায়কে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। হামলায় আহত হন তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যা। সেই ঘটনা বাংলাদেশের বাইরে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আলোড়ন সৃষ্টি করে। প্রয়াত পদার্থবিদ অধ্যাপক অজয় রায়ের ছেলে অভিজিৎ বিজ্ঞানের নানা বিষয় নিয়ে লেখালেখির পাশাপাশি মুক্তমনা ব্লগ সাইট পরিচালনা করতেন। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী অভিজিৎ খুন হওয়ার আগে জঙ্গিদের হুমকির মুখে ছিলেন।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি অভিজিৎ রায়কে কুপিয়ে হত্যার মামলায় সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত মেজর জিয়াউল হক ওরফে জিয়াসহ পাঁচ জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড এবং উগ্রপন্থি ব্লগার শফিউর রহমান ফারাবীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ঢাকার একটি আদালত। রায়ে বলা হয়, ‘আসামিরা সাংগঠনিকভাবে অভিন্ন অভিপ্রায়ে স্বাধীনভাবে মত প্রকাশে বাধা দেওয়ার উদ্দেশ্যে অভিজিৎ রায়কে হত্যা করে।’
সূত্র: বিবিসি বাংলা
আরও পড়ুন
সারাবাংলা/আইই