আসছে লাকী আক্তারের ‘নয়া নয়া ফুল’
২০ ডিসেম্বর ২০২১ ২১:৪১
ঢাকা: আগামী ৩০ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাত ৮টায় মুক্তি পেতে যাচ্ছে ‘নয়া নয়া ফুল’ শিরোনামে লাকী আক্তারের গান। শিল্পীর নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল ‘Gaaner Lucky’ (গানের লাকী)- তে মুক্তি পেতে যাচ্ছে গানটি।
গানটির কথা ও সুর শিল্পীর নিজেরই। এটি লাকীর দ্বিতীয় একক গান। এর আগে চলতি বছরের ২৯ জুলাই পাভেল পার্থ’র কথা ও শিল্পীর সুরে ‘গাছেদের কান্না’ শিরোনামে আরেকটি গান ইউটিউবে প্রকাশিত হয়।
নয়া নয়া ফুল গানটি একটি নিখাদ প্রেমের গান। ক্যাম্পাসে গানের আড্ডায়, বন্ধুদের সঙ্গে ঘরোয়া আয়োজনের গান ‘নয়া নয়া ফুল’ । বাংলা গানের শ্রোতাদের কাছে গানটি জনপ্রিয়তা পাবে বলে গানের সঙ্গে যুক্ত কলাকুশলিদের দৃঢ় বিশ্বাস।
২০১৮ সালে গানটি লেখা হলেও এই এর সঙ্গীত আয়োজন শেষ হয় ২০২১ সালের জুন মাসে। দুজন তরুণ সঙ্গীত পরিচালক অভিজিৎ কুণ্ডু ও অভি চৌধুরি পার্থ যৌথভাবে সংগীত আয়োজন করেছেন। গানটির মিক্স-মাস্টারিং ও সাউন্ড ডিজাইনে ছিলেন রেজওয়ান সাজ্জাদ।
বাঁশি বাজিয়েছেন অয়ন ইসলাম ওলি, সারেঙ্গীতে ছিলেন শৌনক দেবনাথ ঋক, একস্টিক গিটারে কাইয়ুম রেজা, বেজ গিটারে রেজোয়ান সাজ্জাদ এবং হারমনিয়ামে অভিজিৎ কুণ্ডু। এছাড়াও ব্যাঞ্জোতে ফতেহ আলী খান আকাশ, বাংলা ঢোলে ছিলেন সৌরব দাস গুপ্ত, কাহন এবং পার্কেশন বাজিয়েছেন অভি চৌধুরী পার্থ।
এই গানের নান্দনিক পোস্টার নকশা করেছেন ইউডা চারুকলার শিক্ষার্থী সোহানা তাসনিমা এবং তরিক হাসনাত । স্কোর মিউজিক ল্যাব ও সারগাম স্টুডিওতে গানটির রেকর্ডিং হয়।
করোনা পরিস্থিতিতে নয়া নয়া ফুল-এর মিউজিক ভিডিও সম্পন্ন না হওয়ায় ইতোপূর্বে গান প্রকাশের তারিখ ঘোষণা করেও পিছিয়ে দিতে হয়। এই গানের ভিডিও ধারণের লোকেশন নির্বাচনেও একটি বড় সময় অতিবাহিত হয়। করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে এই গানটির ভিডিও ধারণ করা হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জের টিকইল গ্রামে। এ গ্রামটি আলপনা গ্রাম নামেও পরিচিত। ২০২১ সালের অক্টোবর মাসের শেষ সপ্তাহে গানটির শুটিং শেষ হয়।
গানটির মিউজিক ভিডিওর ডিরেকশন ও সিনেমাটোগ্রাফিতে ছিলেন জাহিদুল ইসলাম সজীব। এসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর হিসেবে ছিলেন তরিক হাসনাত। এছাড়াও ড্রোন ক্যামেরায় চিত্র ধারণ করেছেন সৈয়দ মেহেদী হাসান। মিউজিক ভিডিও তৈরিতে টিকইল গ্রামের আলপনা বাড়ীর বাসিন্দারা এবং টিকইল গ্রামের সাধারণ মানুষ এবং নেজামপুর ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃপক্ষ অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে সহযোগিতা করেছেন।
সারাবাংলা/এসএসএ