চাপে পড়লেই মিয়ানমার কথা শোনে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
২১ ডিসেম্বর ২০২১ ১৪:৪৩
ঢাকা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান মিয়ানমারের হাতে। আর চাপে পড়লেই মিয়ানমার কথা শোনে। তাই বিশ্বের উচিত দেশটির ওপর চাপ সৃষ্টি করা। মিয়ানমারের নেত্রীকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমার একাধিকবার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার কথা বললেও দেশটির সামরিক জান্তা সরকার বা গণতান্ত্রিক সরকার সে কথা রাখেনি।
মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে রোহিঙ্গা সংকট এবং প্রত্যাবর্তন বিষয়ক এক সেমিনারে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, রোহিঙ্গা ইস্যুটি একটি আন্তজার্তিক বিষয়। তাদেরকে নিজ দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তনে আন্তজার্তিক মহলকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা মিয়ানমার শুরু করেছে, তাদেরকেই এটি শেষ করতে হবে। রোহিঙ্গাদের তাদের দেশে একসময় রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্ব ছিল। তারা সম্পদশালী ছিল। কিন্তু এখন তারা রাষ্ট্রবিহীন অবস্থায় রয়েছে। এই সমস্যা মিয়ানমার তৈরি করেছে।
রোহিঙ্গা ইস্যু ও মিয়ানমারের গণহত্যা নিয়ে উন্নয়ন সহযোগী দেশগুলো কথা বলছে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনে আন্তজার্তিক মহলের প্রয়োজনীয় ভুমিকা রাখতে হবে। উন্নয়ন সহযোগি কিছু দেশ রয়েছে যারা রোহিঙ্গা ইস্যুকে পুঁজি করে নিজেদের ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াচ্ছে।
এ কে আব্দুল মোমেন আরও বলেন, বাংলাদেশ দীর্ঘ দিন ধরে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে। অথচ কিছু পশ্চিমা দেশ এখনো মিয়ানমারের সঙ্গে পুরোদমে ব্যবসা বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। চীন মিয়ানমারের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ আড়াই লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে ঠেলে দেয় মিয়ানমার। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য পশ্চিমা দেশগুলো মিয়ানমারের ওপর কোনো অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করেনি। বরং দেশটির সঙ্গে বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে।
মিয়ানমার আমাদের শত্রু নয়, তারা আমাদের প্রতিবেশি উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে বছরের পর বছর মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের নিরাপদে ফিরিয়ে নিতে চেয়েছে। কিন্তু কথা রাখেনি। এমনকি যখন মিয়ানমারের সেনারা রোহিঙ্গাদের ওপর হত্যাযজ্ঞ চালায় তখন বিশ্বের কোনো দেশ তাদের পাশে দাঁড়ায়নি। তখন তাদের পাশে ছিল বাংলাদেশ একমাত্র বাংলাদেশ তাদের অস্থায়ীভাবে আশ্রয় দিয়েছে।
সারাবাংলা/টিএস/এসএসএ