পাকিস্তানে মৌর্য যুগের বৌদ্ধ মন্দির আবিষ্কার
২১ ডিসেম্বর ২০২১ ২২:৩৪
পাকিস্তানে অতি প্রাচীন এক বৌদ্ধ মন্দিরের সন্ধান পেয়েছেন একদল প্রত্নতত্ত্ববিদ। তাদের দাবি, এই বৌদ্ধ মন্দির মৌর্য যুগে নির্মিত। সম্ভবত খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীতে মন্দিরটি নির্মাণ করা হয়েছিল। দ্য ডনের খবর।
পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের সোয়াট উপত্যকায় প্রাচীন এ মন্দিরের সন্ধান পেয়েছেন গবেষকরা। ইতালি ও পাকিস্তানের প্রত্নতত্ত্ববিদের যৌথ উদ্যোগে মন্দিরটি আবিষ্কৃত হয়। জানা গেছে, মন্দিরটি চার মিটার দৈর্ঘ্যের। তবে মন্দিরের পাশাপাশি প্রাচীন একটি রাস্তাও আবিষ্কার করেছেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা। রাস্তাটি প্রাচীন শহরের অন্যতম প্রবেশ দ্বার ছিল বলে দাবি তাদের।
ইতালিয়ান প্রত্নতত্ত্ববিদ দলের নেতৃত্বে থাকা অধ্যাপক লুকা এম ওলিভেরি জানান, প্রাচীন এই মন্দিরটি মৌর্য যুগের। সম্ভবত খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীতে মন্দিরটি নির্মাণ করা হয়েছিল।
ডনের খবরে বলা হয়, প্রত্নতত্ত্ববিদদের দাবি, আলেকজান্ডারের সময়ে গ্রিকরা পাকিস্তানের সোয়াট উপত্যকার বাজিরা শহরটিকে তাদের দুর্গ হিসেবে গড়ে তুলেছিল। সে সময় গ্রিকরা মৌর্য সম্রাট অশোকের সময়ে নির্মিত ওই বৌদ্ধ মন্দির কাঠামোর খুঁজ পায়। জানা গেছে, খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় শতকের মাঝামাঝি সময়ে রাজা মেনান্দার পরবর্তী সময়ে স্থাপত্যকীর্তিটির আয়তন বাড়ানো হয়। চতুর্থ শতকের এক ভূমিকম্পে বাজিরার কুশান শহরটি প্রায় ধ্বংস হয়ে যায়। এই সময়েই মন্দিরটি পরিত্যক্ত হয়।
অধ্যাপক লুকা বলেন, এটি আশ্চর্যজনকভাবে একটি গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার, কারণ এটি গান্ধার বৌদ্ধ কাঠামোর একটি নতুন স্থাপত্য নিদর্শন। এ ধরনের একটি মন্দির শুধুমাত্র তক্ষশীলায় পাওয়া গেছে।
পাকিস্তানের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের তরফে আবদুল সামাদ খান বলেন, নতুন এই আবিষ্কার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ আবিষ্কারের মাধ্যমে সে সময়ের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, পরমতসহিষ্ণুতা ও নানা সংস্কৃতির একত্র বিকাশের বিষয়টি আমাদের কাছে স্পষ্ট হয়।
সারাবাংলা/আইই