সমস্যায় জর্জরিত খুবির আবাসিক হল
২২ ডিসেম্বর ২০২১ ১১:৫৩
খুবি: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) ছাত্রদের হলগুলো নানান সমস্যায় জর্জরিত। মশার উপদ্রব, অপরিষ্কার টয়লেট, ডাইনিং-এ কম ভর্তুকি, বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট এবং নতুন তৈরি কক্ষগুলোতে শিক্ষার্থীদের আসন বরাদ্দে দীর্ঘসূত্রিতাসহ অনেক সমস্যায় ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের পঞ্চম ও ষষ্ঠ তলার কাজ ২০১৯ সালে শেষ হয়েছে। কিন্তু এখনও ওই দুইতলার কক্ষগুলোতে শিক্ষার্থীদের আসন বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসন সংকট প্রকট। প্রায় সাড়ে চার হাজার শিক্ষার্থী বিভিন্ন হলে অনাবাসিক হিসেবে সংযুক্ত রয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওই হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. তানজিল সওগাত বলেন, ‘পঞ্চম ও ষষ্ঠ তলার আসবাবপত্র ছাড়া অবকাঠামোগত কাজ বেশ আগেই শেষ হয়েছে। করোনাকালে বিশ্ববিদ্যালয় যেহেতু বন্ধ ছিল, সেহেতু আসবাবপত্র তৈরির কাজ কিছুটা ধীরে চলেছে। আসবাবপত্রগুলো দীর্ঘদিন ব্যবহৃত হবে, এ দিকটি মাথায় রেখে আমরা তাড়াহুড়োও করতে চাইনি। আশা করছি, দ্রুতই ওই দুই তলায় ছাত্রদের সিট বরাদ্দ দিতে পারব।’
খান বাহাদুর আহছানউল্লা হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা জানান, হলের টয়লেটগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না। এমনকি টয়লেটগুলো পরিষ্কার করতে কখনও দুই সপ্তাহও লেগে যায়। যে কারণে টয়লেট থেকে দুর্গন্ধ ছড়ায়। হলের নিচতলা ও দ্বিতীয় তলার কক্ষগুলোতে আলমারি দেওয়া হলেও এখনো তৃতীয় ও চতুর্থ তলার কক্ষগুলোতে আলমারি দেওয়া হয়নি। যে কারণে ওই দুই তলার শিক্ষার্থীরা দামী এবং গোপনীয় জিনিসপত্র রাখতে ভোগান্তিতে পড়ছেন।
খান বাহাদুর আহছানউল্লা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের জোবায়ের হোসেন বলেন, ‘হলে মশার উপদ্রব বেড়েই চলেছে, ওয়াশরুমের দরজার ছিটকিনি ভাঙ্গা। তাছাড়াও প্রতি তলায় খাবার পানি সংগ্রহের ব্যবস্থা নেই। এছাড়া হলের প্রতি রুমে দুটি করে সিলিং ফ্যান দিলে ভালো হয়।’
এদিকে খান জাহান আলী হলের নিচতলায় মশার উৎপাতে অশান্তিতে রয়েছেন শিক্ষার্থীরা। কিছুদিন আগে হলগুলোতে মশা নিধনে ‘ফগ স্প্রে’ করা হলেও সেটা তেমন কাজে আসেনি বলে জানান তারা।
খান জাহান আলী হলের আবাসিক শিক্ষার্থী গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিনের সাদমান সাকিব বলেন, ‘সন্ধ্যা হলেই মশার উপদ্রব প্রকট আকার নেয়। বিশেষ করে নিচতলায় এ সমস্যা বেশি।’
অপরদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ডাইনিং এ ১ হাজার টাকা করে ভর্তুকি দেওয়া হলেও খান বাহাদুর আহছানউল্লা হল ও খান জাহান আলী হলের ডাইনিংয়ে ৫০০ টাকা ভর্তুকি দেওয়া হয়, যেটা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। ওই দুই হলের শিক্ষার্থীরা জানান প্রভোস্ট স্যারকে ইতোমধ্যেই জানিয়েছি কিন্তু এখনো কোনো সমাধান আসেনি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের খান জাহান আলী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল জব্বার বলেন, ডাইনিং-এ ভর্তুকি বৃদ্ধির বিষয়টি নিয়ে আমরা পরিকল্পনা করছি। মশার উপদ্রবের বিষয়টি নিয়েও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছি। সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এখন থেকে মশা নিধনে নিয়মিত ফগ স্প্রে করা হবে।
সারাবাংলা/এএম