জাল ব্যান্ডরোলে শত কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকির ‘আয়োজন’
২২ ডিসেম্বর ২০২১ ২০:৫৫
চট্টগ্রাম ব্যুরো: কাগজের ঘোষণা দিয়ে চীন থেকে আনা জাল ব্যান্ডরোলের একটি চালান আটক করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস। এসব জাল ব্যান্ডরোল ব্যবহার হলে সরকার প্রায় ১০০ কোটি টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হতো বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
বুধবার (২২ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম বন্দরে আসা কনটেইনারভর্তি চালানটির কায়িক পরীক্ষা সম্পন্ন করে কাস্টমসের অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিচার্স (এআইআর) শাখা।
কাস্টমসের এআইআর শাখার উপ-কমিশনার মো. নুরুল বাসির সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, কনটেইনার ১২০ কার্টনে এক কোটি ৬২ লাখ বিভিন্ন রঙের জাল ব্যান্ডরোল পাওয় যায়। আর এক হাজার ১৪০ কার্টনে এ-ফোর সাইজের কাগজ পাওয়া যায়।
চট্টগ্রামের আরাফাত এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠান চীন থেকে এ-ফোর সাইজের কাগজের ঘোষণা দিয়ে চালানটি আমদানি করেছিল। নগরীর কোতোয়ালি থানার জুবিলি রোডের কাদের টাওয়ারের চতুর্থতলায় আরাফাত এন্টারপ্রাইজের কার্যালয়। গত ৮ নভেম্বর ওই চালানের বিপরীতে ইউনিয়ন ব্যাংক লিমিটেড জুবিলি রোড শাখা থেকে ঋণপত্র ইস্যু হয়েছিল।
জাহাজে চালানটি চট্টগ্রাম বন্দরে আসার পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেটির খালাস বন্ধ করে দেয় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। কাস্টমসের পোর্ট কন্ট্রোল ইউনিট (পিসিইউ) ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার আওতায় রফতানিকারক, রফতানিকারকের ওয়েবসাইট, পণ্য তৈরির দেশ, আমদানিকারকের ব্যবসার ধরন ও ঠিকানা, পণ্যের বিবরণ বিশ্লেষণ করে অসত্য ঘোষণায় জাল ব্যান্ডরোল আনার তথ্য পাওয়া যায়। এরপর সেটি খালাস না করে কায়িক পরীক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
কাস্টমস কর্মকর্তা নুরুল বাসির সারাবাংলাকে বলেন, ‘চালানটি যদি খালাস করতে পারতো তাহলে অন্তত ১ কোটি ৬২ লাখ সিগারেটের মোড়কে জাল ব্যান্ডরোলগুলো ব্যবহার হত। এতে সরকার প্রায় ১০০ কোটি টাকার রাজস্ব হারাতো।’
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে বিড়ি-সিগারেটের প্যাকেটে কাগজের যে ছোট পাতলা আবরণ ফিতার মতো জড়ানো থাকে, সেটিই ব্যান্ডরোল। ব্যান্ডরোল ছাপে সরকারি প্রতিষ্ঠান দ্য সিকিউরিটি প্রিন্টিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ। সেখান থেকে সংগ্রহ করে সিগারেটের কোম্পানিগুলো। আর বিপণনের সময় ব্যান্ডরোলের ব্যবহার অনুযায়ী ভ্যাট বিভাগে শুল্ককর পরিশোধ করতে হয়।
সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম