কক্সবাজারে স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
২৩ ডিসেম্বর ২০২১ ১১:৫৬
কক্সবাজার: ঢাকা থেকে কক্সবাজার বেড়াতে এসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন এক গৃহবধূ। স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে হত্যার ভয় দেখিয়ে তাকে তিন যুবক ধর্ষণ করেছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী নারী। খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে র্যাব।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল জোনের জিয়া গেস্ট ইন নামের হোটেল থেকে গতকাল বুধবার (২২ ডিসেম্বর) রাত দেড়টার দিকে তাকে উদ্ধার করা হয়। কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর সিপিসি কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এ বিষয়ে মেজর মেহেদী হাসান জানান, খবর পেয়ে স্বামী-সন্তান ও গৃহবধূকে উদ্ধার করা হয়। এখন পর্যন্ত তিনজনের মধ্যে দুইজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের ধরতে অভিযান চলছে।’
ভুক্তভোগী নারী জানান, গতকাল বুধবার সকালে ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে স্বামী-সন্তানসহ কক্সবাজার বেড়াতে আসেন। উঠেন শহরের হলিডে মোড়ের একটি হোটেলে। সেখান থেকে বিকেলে যান সৈকতের লাবনী পয়েন্টে। সেখানে অপরিচিত এক যুবকের সঙ্গে তার স্বামীর ধাক্কা লাগলে, কথা কাটাকাটি হয়। এর জেরে সন্ধ্যার পর পর্যটন গলফ মাঠের সামনে থেকে তার ৮ মাসের সন্তান ও স্বামীকে সিএনজি অটোরিকশায় করে কয়েকজন তুলে নিয়ে যায়। এ সময় আরেকটি সিএনজি অটোরিকশায় তাকে তুলে নেয় তিন যুবক। পর্যটন গলফ মাঠের পেছনে একটি ঝুপড়ি চায়ের দোকানের পেছনে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে ওই তিন যুবক।
তিনি আরও জানান, ধর্ষণ শেষে তাকে জিয়া গেস্ট ইন নামে একটি হোটেলে নেওয়া হয়। সেখানে ইয়াবা সেবনের পর আরেক দফা তাকে ধর্ষণ করেন ওই তিন যুবক। ঘটনা কাউকে জানালে সন্তান ও স্বামীকে হত্যা করা হবে জানিয়ে রুমের বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন তারা। এই হোটেল থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করে র্যাব।
ভুক্তভোগী আরও জানান, জিয়া গেস্ট ইনের তৃতীয় তলার জানালা দিয়ে এক যুবকের সহায়তা কক্ষের দরজা খুলেন তিনি। তারপর ফোন দেন ৯৯৯-এ। পুলিশ তাকে থানায় সাধারণ ডায়েরি করার পরামর্শ দেয়। তারপর পাশের একজনের সহযোগিতায় কল দেন র্যাবের কাছে। তারা এসে তাকে উদ্ধার করে। তার স্বামী ও সন্তানকে উদ্ধার করা হয় পর্যটন গলফ মাঠের সামনে থেকে।
ভুক্তভোগীর স্বামী জানান , ‘সামান্য ধাক্কাধাক্কির কারণে তারা আমার এত বড় ক্ষতি করল। অপরিচিত বলে শহরের বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে গেলেও, সে জায়গা ও দুর্বৃত্তদের চিনতে পারিনি। বার বার হাতে-পায়ে ধরলেও তারা আমার স্ত্রীকে ফেরত দেয়নি। বেড়াতে এসেছিলাম বেতন পাওয়ার খুশিতে। এখন স্ত্রীর অবস্থা ভাল না। তাকে নিয়ে চিন্তায় আছি।’
কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর লে. কর্নেল খায়রুল ইসলাম সরকার জানান, এ ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক, তাদের কঠোর শাস্তি পেতে হবে। বিষয়টি নিয়ে অধিকতর তদন্ত চলছে। মামলার বিষয়টিও প্রক্রিয়াধীন।
সারাবাংলা/এনএস
কক্সাবাজার পর্যটক ধর্ষণ সংঘবদ্ধ ধর্ষণ স্বামী-সন্তানকে জিম্মি