লবণ ও জলমগ্নতা সহিষ্ণু ধানের জিনোম সিকোয়েন্স উন্মোচন
২৩ ডিসেম্বর ২০২১ ১৭:৩৫
ঢাকা: দেশে প্রথমবারের মতো লবণাক্ততা ও জলমগ্নতা সহিষ্ণু ধানের পূর্ণাঙ্গ জিনোম সিকোয়েন্স উন্মোচন করেছে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিট (বিনা) ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। এর ফলে লবণ ও জলমগ্নতা সহিষ্ণু ধান গবেষণায় নতুন দিগন্তের সূচনা হবে।
বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) ময়মনসিংহের বিনায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। এতে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক উপস্থিত ছিলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের ২ মিলিয়ন হেক্টর জমি লবণাক্ত, যেখানে বছরে ১টি ফসল হয়। খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই করতে ও ভবিষ্যতে খাদ্যের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে আমরা লবণাক্ত, হাওরসহ প্রতিকূল এলাকায় বছরে ২-৩টি ফসল উৎপাদনে গুরুত্ব দিচ্ছি। পূর্ণাঙ্গ জিনোম উন্মোচনের ফলে লবণাক্ততা ও জলমগ্নতা সহিষ্ণু জাতের ধান উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণ সহজতর হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিনা ও বাকৃবির যৌথ এ গবেষণায় বিভিন্ন মাত্রার গামা রেডিয়েশন প্রয়োগ করে প্রায় অর্ধলক্ষাধিক মিউট্যান্ট সৃষ্টি করে তা থেকে নানামুখী পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে এমসিক্স (M6) জেনারেশনে ৩টি উন্নত মিউট্যান্ট শনাক্ত করা হয়েছে। প্রাপ্ত মিউট্যান্টগুলো প্যারেন্ট অপেক্ষা উন্নত বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন এবং আট ডিএসএম (8 dS/m) মাত্রার লবণাক্ততা ও ১৫ দিন জলমগ্নতা সহিষ্ণু।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় আকষ্মিক বন্যা ও লবণাক্ততা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাওয়ায় ধান চাষ ব্যাহত হচ্ছে। এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানের কার্যকরী উপায় হচ্ছে লবণ ও জলমগ্নতা সহিষ্ণু ধানের উন্নত জাত উদ্ভাবন। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিটের (বিনা) ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলামের নেতৃত্বে একদল বিজ্ঞানী প্রায় এক দশক ধরে কাজ করে চলেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিনার ডিজি ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম, বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মো. বখতিয়ার, বাকৃবির ভিসি অধ্যাপক লুৎফুল হাসান, ব্রি’র ডিজি শাহজাহান কবীর উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/ইএইচটি/এমও
জিনোম ধান পরমাণু কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিট বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় লবণ