লঞ্চে আগুন: দগ্ধ দুইজন বার্ন ইউনিটে ভর্তি
২৪ ডিসেম্বর ২০২১ ১৭:৩৬
ঢাকা: ঝালকাঠিতে ভয়াবহ লঞ্চ দুর্ঘটনায় দুইজনকে শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। এরা হলেন মা জিয়াসমিন আক্তার (২৮) ও তার ছেলে তামিম হাসান (৮)।
শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সযোগে তাদেরকে ঢাকার বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। ঢাকায় আসার পথে মাওয়া ফেরিঘাটে মারা যায় জিয়াসমিনের মেয়ে মাহিনুর (৬)
জিয়াসমিনের মামা মো. মামুন হোসেন চুন্নু জানান, জেসমিন তার স্বামী খলিলুল্লাহ ও দুই সন্তান নিয়ে বরগুনা সদরে স্বামীর বাড়িতে থাকেন। তার বাবার বাড়ি ঢাকার কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা এলাকায়। ১২ দিন আগে জিয়াসমিনের নানির মৃত্যুর খবর শুনে দুই সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়ি কেরাণীগঞ্জে আসেন। স্বামী খলিলুল্লাহ আগেই চলে যায়। গতকাল রাতে সন্তানদের নিয়ে বরগুনা ফিরছিল জিয়াসমিন। তখন লঞ্চে এই দুর্ঘটনার শিকার হয়।
তিনি আরও জানান, দগ্ধ অবস্থায় তাদেরকে প্রথমে বরিশাল মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে জিয়াসমিনের আত্মীয়স্বজনরা উন্নত চিকিৎসার জন্য তিনজনকে ঢাকায় নিয়ে আসে। পথে মাওয়া ঘাটে মেয়ে মাহিনুরের মৃত্যু হয়। তার লাশ কেরাণীগঞ্জের শুভাঢ্যায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
দগ্ধ জিয়াসমিন জানান, আগুন লাগার পর তার কিছু মনে নেই। শুধু মনে আছে, পাড়ে ভেড়ার পর দুই সন্তানকে দুতলা থেকে নিচে বালুতে ছুড়ে দেন। এরপর তিনিও লাফ দেন। এরপর কি হয়েছে আর কিছু বলতে পারেন না।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে আবাসিক চিকিৎসক ডা: এস এম আইউব হোসেন জানান, দুজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদেরকে ভর্তি রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে জিয়াসমিনের ১২ শতাংস, ও তামিমের ৩০শতাংস দগ্ধ হয়েছে।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট সমন্বয়কারী ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধদের চিকিৎসা দিতে ইনস্টিটিউট প্রস্তুত আছে। ইনস্টিটিউট থেকে চারজন চিকিৎসককে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে দগ্ধদের চিকিৎসা দিতে পাঠানো হবে।
সারাবংলা/এসএসআর/একে