‘গুলিবিদ্ধ’ হয়েও দমেননি, ফের ছিনতাইয়ে নেমে ধরা
২৪ ডিসেম্বর ২০২১ ১৭:৫৯
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে ছিনতাই করে পালানোর সময় পুলিশ ধাওয়া দিয়ে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, এদের একজন তিন বছর আগে বিদেশি নাগরিকের ব্যাগ ছিনতাইয়ের পর গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গোয়েন্দা পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিলেন। জামিনে বেরিয়ে ফের ছিনতাইয়ে জড়িয়ে পড়েন।
বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাত ১১টার দিকে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানার নাসিরাবাদে বিএসআরএম কারখানার সামনে এক পথচারীর ব্যাগ টান দেন চলন্ত অটোরিকশায় থাকা দুই ছিনতাইকারী। তখন ওই পথচারী চিৎকার দিলে কাছেই থাকা টহল পুলিশ ধাওয়া দিয়ে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে শেরশাহ মিটার সড়ক থেকে অটোরিকশা আটক করে দুই ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতার দু’জন হলেন— মো. ইউসুফ (৩২) ও মো. সুমন মিয়া (২৭)। তাদের কাছ থেকে দু’টি কিরিচ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বায়েজিদ বোস্তামি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান।
২০১৮ সালে নগরীর খুলশী থানার জাকির হোসেন সড়কে বিদেশি নাগরিক এশিয়ান উইমেন ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষকের ব্যাগ ছিনতাই হয়। এ ঘটনায় নগর গোয়েন্দা পুলিশ সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ইউসুফকে শনাক্ত করেছিল। পরে গোয়েন্দা পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ইউসুফকে এক সহযোগীসহ গ্রেফতার করা হয়েছিল।
ওসি কামরুজ্জামান সারাবাংলাকে বলেন, ‘২০১৮ সালে বিদেশি নাগরিকের ক্যামেরাসহ ব্যাগ ছিনতাইয়ের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গ্রেফতারের কয়েক মাস পরেই ইউসুফ জামিনে ছাড়া পায়। মুক্ত হয়ে আবারও ছিনতাইয়ে জড়িয়ে পড়ে। ২০১৯ সালের আগস্টে তাকে আবারও গ্রেফতার করা হয়। সম্প্রতি জামিনে বেরিয়ে আবারও ছিনতাই শুরু করেছে। ইউসুফ অটোরিকশা নিয়ে ঘুরে বেড়ায় বিভিন্ন পথে। সুযোগ বুঝে পথচারি কিংবা রিকশা আরোহীদের মালামাল ছিনিয়ে নেয়।’
ওসি জানিয়েছেন, ২০০৫ সাল থেকে ছিনতাইয়ে জড়ান ইউসুফ। এক সময়ের দুর্ধর্ষ ছিনতাইকারী বাহিনী হামকা নূর আলম গ্রুপের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। ওই গ্রুপ ভেঙে যাওয়ার পর নিজেই একটি দল তৈরি করেছেন। দলের অধিকাংশ সদস্য অটোরিকশাচালক। তারা ছিনতাইয়ে মূলত অটোরিকশাই ব্যবহার করেন। এসব অটোরিকশা সিএনজিতে নয়, পেট্রলে চলে যেন ছিনতাইয়ের আগে-পরে দ্রুত চালানো যায়।
ইউসুফের বিরুদ্ধে ২১টি মামলা আছে নগরীর বিভিন্ন থানায়, যার সবগুলোই ছিনতাইয়ের অভিযোগে। সবশেষ ঘটনায় ইউসুফ ও সুমনের বিরুদ্ধে বায়েজিদ থানায় আরও একটি মামলা দায়ের হয়েছে বলে ওসি জানিয়েছেন।
সারাবাংলা/আরডি/টিআর