লঞ্চে আগুন: বরগুনায় গণকবরে ৩০ জনকে দাফন
২৫ ডিসেম্বর ২০২১ ১২:৩০
বরগুনা: ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে আগুনের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৪১ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। নিহতদের মধ্যে পরিচয় নিশ্চিত হতে না পারায় ৩০ জনকে গণকবরে দাফন করা হয়েছে। বাকি ১১ জনের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় জানাজা শেষে বরগুনা পোটকাখালী গণকবরে ওই ৩০ জনকে দাফন করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, যাদের পরিচয় শনাক্ত হয়নি, তাদের ডিএনএ সংরক্ষণ করা হয়েছে।
এর আগে নিহতদের মধ্যে চার জনের লাশ নিয়ে যায় স্বজনরা। পরে আরও পাঁচ জনের লাশ হস্তান্তর করা হয়। বাকি ৩২ লাশ গতরাতে বরগুনা জেলা প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসন। এরমধ্যেও দুই জনের লাশ শনাক্ত করা গেছে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে নলছিটির সুগন্ধা নদীর পোনাবালীয়া ইউনিয়নের দেউরী এলাকায় বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চের ইঞ্জিন রুম থেকে আগুন লাগে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। অগ্নিদগ্ধ হয়ে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৭০ জন। ঢাকায় পাঠানো হয়েছে ১৬ জনকে। আহত হয়েছেন শতাধিক।
এ ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসন। শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নাজমুল আলমকে প্রধান করে এ কমিটি গঠন করা হয়।
ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক জহোর আলী বলেন, ‘ওই কমিটিতে আরও চার জন রয়েছেন। ইতোমধ্যে কমিটি তাদের কর্মকাণ্ড শুরু করেছেন। কমিটিকে লঞ্চ দুর্ঘটনার কারণ এবং কীভাবে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে এসব জানাতে বলা হয়েছে। আর লঞ্চের ইঞ্জিন বিস্ফোরণে অগ্নিকাণ্ডের প্রাথমিক ধারণা কতটা সত্য- তাও বের করতে বলা হয়েছে।’
সারাবাংলা/এএম