ইসি গঠনে রাষ্ট্রপতিকে স্থায়ী আইন তৈরিসহ ৭ প্রস্তাবনা ন্যাপের
২৬ ডিসেম্বর ২০২১ ২০:৪৬
ঢাকা: একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে চলমান সংলাপের তৃতীয় দিনে সংবিধান অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট আইনি কাঠামো তৈরিসহ ৭ প্রস্তাবনা দিয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ)।
রোববার (২৬ ডিসেম্বর) বিকাল চারটায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বঙ্গভবনে অনুষ্ঠিত সংলাপে এই প্রস্তাব দেন ন্যাপের নেতারা। ন্যাপের দায়িত্বপ্রাপ্ত কার্যকরী সভাপতি আইভি আহমেদের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশ নেন।
সংলাপ শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন জানান, সংলাপে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি স্বাধীন, কার্যকরি ও গ্রহণযোগ্য ইসি গঠনের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে সাত দফা দাবি পেশ করেন।
প্রস্তাবগুলোর উল্লেখযোগ্য অংশ হলো- সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য একটি আইন প্রণয়ন করা, ইসি গঠনে ক্ষেত্রে যোগ্য দক্ষ নির্মোহ সৎ ও জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীদের নিয়োগ দেওয়া, জবাবদিহিমূলক নির্বাচন কমিশন গঠন করা এবং স্বাধীনতার চেতনা বিরোধী ব্যক্তি ও রাজনীতি দলকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা।
প্রেস সচিব জানান, রাষ্ট্রপতি বঙ্গভবনে ন্যাপের প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানান। রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন গঠন একটি সাংবিধানিক দায়িত্ব এবং একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনই সংলাপের আলোচনার মূল লক্ষ্য।’
এসময় রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন পর্যায়ক্রমে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে একটি দক্ষ, শক্তিশালী ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠন করা সম্ভব হবে। তিনি দেশের ইসি গঠনে সব রাজনৈতিক দলগুলোর সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন। খবর বাসসের।
সংলাপে অংশ নেওয়া ন্যাপের প্রতিনিধিরা হলেন- সভাপতিমন্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান, কাজী সিদ্দিকুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আহমেদ খান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক পার্থসারথি চক্রবর্তী ও সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য অনিল চক্রবর্তী রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেন।
সংলাপের সময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, গত ২০ ডিসেম্বর প্রথম দিনে সংসদে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সঙ্গে সংলাপ করেন রাষ্ট্রপতি হামিদ। গত ২২ ডিসেম্বর জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সঙ্গে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। আগামী সোমবার ২৭ ডিসেম্বর বিকাল ৪টায় বৈঠক হবে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন এবং সন্ধ্যা ছয়টায় খেলাফত মজলিসের সঙ্গে।
এর আগে নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
রাষ্ট্রপতিকে সিইসি এবং অনধিক চার জন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। গত কয়েকটি মেয়াদে রাষ্ট্রপতি ‘সার্চ কমিটি’র সুপারিশের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন। বর্তমান ইসির পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি। এ সময়ের মধ্যেই রাষ্ট্রপতি নতুন কমিশন গঠন করবেন, যাদের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।
সারাবাংলা/এমও
ইসি আইন ইসি গঠন টপ নিউজ ন্যাপ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি রাষ্ট্রপতি স্থায়ী আইন তৈরি