ঢাকা: অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের দায়ের করা মামলায় সোনালী ব্যাংকের এমডি ও হুমায়ুন কবীর ৮ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই মামলায় আরও তিন ব্যক্তিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রোববার (২৬ ডিসেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালত এই আদেশ দেন।
প্রতারণায় সহযোগিতার অভিযোগে সোনালী ব্যাংকের এমডি ও সিইও হুমায়ুন কবীর, ডিএমডি মাইনুল হক, জিমএম মীর মহিদুর রহমান ও ননী গোপাল নাথ, ডিজিএম শেখ আলতাফ হোসেন ও মো. সফিজ উদ্দিন আহমেদ, এজিএম সাইফুল হাসান ও কামরুল হোসেন খানকে ৩ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। জমিরানার অর্থ না দিলে আরও ৩ মাস কারাভোগ করতে হবে তাদের।
সোনালী ব্যাংকের এই আট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার মধ্যে হুমায়ুন কবীর, ননী গোপাল নাথ ও সাইফুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন।
এদিকে, এ মামলায় প্রতারণায় সহযোগিতার অভিযোগে ডিএন স্পোর্টস লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোতাহার উদ্দিন চৌধুরী ও তার মেয়ে পরিচালক মিসেস ফাহমিদা আক্তার এবং প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর সফিকুর রহমান জনকে তিন বছর কারাদণ্ড ও এক কোটি ৪২ লাখ ৯৪ হাজার ৭৪ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাদের আরও ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এক কোটি ৪২ লাখ ৯৪ হাজার ৭৪ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত এবং বিধি অনুযায়ী সমহারে আদায়ের নির্দেশ দেন আদালত। এছাড়া প্রতারণার অভিযোগে তাদের আরও ৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। অর্থদণ্ড অনাদায়ে তাদের আরও ৬ মাস বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে। এ তিন আসামির সাজা একসঙ্গে চলবে বলে আদেশে উল্লেখ করেন বিচারক।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১১ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে ২০১২ সালের ২৭ মে এর মধ্যে রমনা থানাধীন সোনালী ব্যাংক লিমিটেড হোটেল শেরাটন শাখা থেকে ডিএন স্পোর্টস লি. এর নামে পিএসসি বাবদ সৃষ্টি দেখিয়ে এক কোটি ৩৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে।
২০১৩ সালের ১ জানুয়ারী দুদকের সহকারী পরিচালক সেলিনা আক্তার মনি ১৬ জনকে আসামি করে রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করেন। ২০১৪ সালের ২২ মে মামলাটি তদন্ত শেষে ১১ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. নাজমুচ্ছায়াদাত।
২০১৫ সালের ৪ নভেম্বর ১১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলাটির বিচার চলাকালে আদালত ৬১ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৪ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।