‘প্রয়োজনে একা ইরানের বিরুদ্ধে লড়বে ইসরাইল‘
২৭ ডিসেম্বর ২০২১ ১৯:৩৭
ভিয়েনায় ছয় পাঁচ বিশ্বশক্তির সঙ্গে ইরানের পরমাণু চুক্তি বিষয়ক আলোচনা চলছে। এরইমধ্যে ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ইয়ার ল্যাপিড বলেছেন, প্রয়োজন পড়লে ইরানের বিরুদ্ধে একাই লড়বে তার দেশ।
ইয়ার ল্যাপিড বলেন, ‘অবশ্যই, আমরা আন্তর্জাতিক সহযোগিতায় কাজ করতে পছন্দ করি। কিন্তু প্রয়োজনে আমরা ইরানের বিরুদ্ধে একাই কাজ করব। আমরা নিজেরাই নিজেদের রক্ষা করতে পারি।’
তিনি বলেন, ‘ইরান চায় তাদের উপর থেকে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার। তাদের পারমাণবিক প্রকল্পে শত কোটি ডলার বিনিয়োগ হয়েছে। অর্থায়ন করেছে হেজবুল্লাহ, সিরিয়া, ইরাক এবং বিশ্বব্যাপী ছড়ানো তাদের সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক।’
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময়ে ইরানসহ ছয়টি দেশ (যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য) এক চুক্তিতে সম্মত হয়। এ চুক্তির আওতায় পরমাণু সমৃদ্ধকরণের মাত্রা কম রাখতে রাজি হয় তেহরান। এছাড়া ইরানের পরমাণু স্থাপনায় নিয়মিত পরিদর্শনের সুযোগ পায় আন্তর্জাতিক মহল। তার পরিবর্তে ইরানের ওপর পশ্চিমাবিশ্বের চাপান কড়া শাস্তিমূলক নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে সম্মত হয়।
ইসরাইল বরাবরই ওই চুক্তির বিরোধীতা করে আসছে। ইসরাইলের দাবি, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধ করতে কোনো সমঝোতা চুক্তি নয়, বরং অর্থনৈতিক ও সামরিক হস্তক্ষেপই কার্যকর।
২০১৮ সালে জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন (জেসিপিওএ) নামের ওই চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইরানের উপর একের পর এক অবরোধ আরোপ করতে থাকে ওয়াশিংটন। পরে কোণঠাসা হয়ে পড়া ইরান পরমাণু কর্মসূচি আরও বিস্তৃত করা শুরু করে।
বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আবারও ইরানের সঙ্গে জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন (জেসিপিওএ) চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রকে ফেরাতে চাইছেন। গত এপ্রিল থেকে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় ইরানের সঙ্গে ৬ বিশ্বশক্তি আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।
সারাবাংলা/আইই