চুয়াডাঙ্গায় বিজিবির সোর্সকে গুলি করে হত্যা
২৯ ডিসেম্বর ২০২১ ১১:০৩
চুয়াডাঙ্গা: দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী নাস্তিপুর গ্রামে নিজের শোবার ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে হযরত আলী বিশ্বাস (৫৬) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে শোবার ঘরের রাস্তার পাশের জানালা খোলা অবস্থায় গুলিবিদ্ধের ঘটনাটি ঘটে। ওই রাতেই মূমুর্ষ হযরত আলীকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত হযরত আলী বিশ্বাস নাস্তিপুর গ্রামের বাদলা বিশ্বাসের ছেলে।
নিহতের ছেলে তৌফিক হাসান নাঈম জানান, রাতে বিকট শব্দ ও মায়ের চিৎকারে পাশে শোবার ঘরে গিয়ে বাবাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পায়। ওই সময় তার বাবার মাথা থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। সে সময় বাবার শোবার ঘরের রাস্তার পাশের জানালা খোলা ছিলো। তার বাবাকে নিয়ে মোটরসাইকেলে চেপে প্রথমে দর্শনার একটি ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার বাবার মৃত্যু হয়।
তিনি আরও জানান, তার বাবা কৃষি কাজ এবং বিজিবিকে চোরাচালান সংক্রান্ত খবর দিত। সীমান্ত এলাকার চোরাকারবারীরা শোবার ঘরের জানালা দিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি করে তার বাবাকে হত্যা করতে পারে।
প্রতিবেশীরা জানায়, চলতি মাসে ভারত সীমান্তবর্তী নাস্তিপুর ও তার আশপাশ এলাকা থেকে বিজিবি ভারতে পাচার হওয়ার আগেই বেশ কয়েকটি অবৈধ স্বর্ণের বড় চালান আটক করে। তারই জের ধরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে।
সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক সোহরাব হোসেন জানান, রাত দেড়টার দিকে মূমুর্ষ অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে এলে রাত ৩টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।
দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ এইচ.এম.লুৎফুল কবির বলেন, হযরত আলী বিশ্বাস বিজিবিকে চোরাচালান বিষয়ে খবর দিত। তবে কারা, কি কারণে তাকে হত্যা করেছে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। এ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করে কারণ উদঘাটন করা সম্ভব হবে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে দর্শনা থানায় মামলা হবে।
সারাবাংলা/এসএসএ