Sunday 24 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আর কিছুই করার নেই— খালেদা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৯ ডিসেম্বর ২০২১ ১৯:১৯

চট্টগ্রাম ব্যুরো: একাত্তরের চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে বিতর্ক ও সত্যের অপলাপ শুনলে জিয়াউর রহমান নিজেই লজ্জা পেতেন বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানো নিয়ে সরকারের আর কিছুই করার নেই বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন মন্ত্রী।

বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনের আওতাধীন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। নগরীর চান্দগাঁওয়ে বেতারকেন্দ্রের সামনে এ সভার আয়োজন করা হয়, যেখান থেকে একাত্তরে স্বাধীনতার ঘোষণা প্রচার হয়েছিল।

বিজ্ঞাপন

প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অপারেশন সার্চলাইটের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, ‘গভীর রাতে হঠাৎ আক্রমণ। গুলি চলছিল। নৃশংস হত্যাযজ্ঞ।

আমরা তখন কিংকর্তব্যবিমূঢ়, কি করবো আমরা, কোথায় যাব ? তখন বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে বেতারের মাধ্যমে দেওয়া হান্নান ভাইয়ের (এম এ হান্নান) স্বাধীনতার ঘোষণা শুনেছিলাম। আমরা দেশের জনগণ ঘুরে দাঁড়িয়েছিলাম হান্নান ভাইয়ের সেই আহ্বানে।’

জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এরপর এই চট্টগ্রামের যারা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বস্থানীয় ছিলেন, মোশাররফ ভাই (ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন) এখনও বেঁচে আছেন, তারা একত্রিত হয়ে সিদ্ধান্ত নিলেন যে- এই যে যুদ্ধ চলছে, ঘোষণা দেওয়ার জন্য একজন আর্মির অফিসার দরকার। তখন ক্যাপ্টেন রফিক চট্টগ্রামে যুদ্ধ মোকাবেলা করে যাচ্ছিলেন, তাকে আহ্বান করা হয়েছিল। কিন্তু যুদ্ধে থাকায় তিনি আসেননি। ২৭ তারিখ বোধহয় দুপুর ১টার দিকে হঠাৎ আমি বেতারে শুনলাম মেজর জিয়ার আহ্বান। প্রথমে তিনি নিজেকে অনেককিছু বলেছেন, পরে অবশ্য সংশোধন করে বঙ্গবন্ধুর নামে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। এটাই হল সত্যিকারের ঘটনা।’

বিজ্ঞাপন

‘কিন্তু পরে এটাকে বিকৃত করে কতভাবে যে ব্যবহার করা হয়েছে, সত্যের অপলাপ করা হয়েছে, জিয়াউর রহমান যদি ফিরে আসতেন তাহলে তিনি শুনে নিজেই লজ্জা পেতেন। কারণ জীবিত অবস্থায় এ ধরনের উচ্চবাচ্য তিনি কখনও করেননি। তার মৃত্যুর পর আমরা অনেককিছু দেখেছি, অনেককিছু শুনেছি, অনেককিছু সহ্য করেছি।’

১৫ আগস্ট খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালনের সমালোচনা করে মন্ত্রী বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মাঝে মাঝে বলেন, আমি নীলকণ্ঠি। আমি সবকিছু হারিয়েও চলছি। যথার্থই তিনি বলেন। একরাতের মধ্যে জাতির পিতাকে সপরিবারে খুন করা হল। শিশু শেখ রাসেলকেও খুন করা হয়েছে। সেই হৃদয়বিদারক ঘটনায় বাংলাদেশের মানুষ এখনও শিউরে ওঠেন। কিন্তু এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের মধ্যেই একজন আবিষ্কার করলেন, হত্যাকাণ্ডের দিন তার জন্মদিন। আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়। কিভাবে নিজের আসল জন্মদিন পাল্টে জাতির শোকের দিনে জন্মদিন পালন করা যায়, আমরা ভাবতে পারি না।’

সভা শেষে সাংবাদিকরা কক্সবাজারে নারীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ ও খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্য জানতে চান। তিনি বলেন, ‘কক্সবাজারের ঘটনায় মামলা রেকর্ড হয়েছে, এটা তদন্তাধীন আছে। তদন্তাধীন কোনো মামলায় আমরা মন্তব্য করতে পারি না। তদন্তের পরে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে মাননীয় আইনমন্ত্রী তার নথিতে বলেছেন, আইনে এর কোনো সুযোগ নেই। কাজেই আমরা এখন আর এটা নিয়ে কিছু করতে পারছি না।’

চট্টগ্রাম-৮ আসনের সাংসদ ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে এবং নগর কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, নগর কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আ জম নাছির উদ্দীন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী এবং নগর মহিলা লীগের সভাপতি হাসিনা মহিউদ্দিন।

সারাবাংলা/আরডি/আইই

টপ নিউজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল

বিজ্ঞাপন

বিদেশ বিভুঁই । ছবিনামা-১
২৪ নভেম্বর ২০২৪ ২৩:০০

আরো

সম্পর্কিত খবর