মাসে ৪ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়ার পরিকল্পনা
২৯ ডিসেম্বর ২০২১ ২২:৫০
ঢাকা: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, জানুয়ারি থেকে প্রতি মাসে অন্তত চার কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। এ লক্ষ্যে, আগামী মাস থেকেই দেশের প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ভ্যাকসিন দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মে-জুনের মধ্যেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।
বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে এসেনসিয়াল ড্রাগস্ কোম্পানি লিমিটের (ইডিসিএল) আয়োজিত বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
জাহিদ মালেক বলেন, ইতোমধ্যেই ৩১ কোটি ডোজ ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা হয়েছে। সেখান থেকে প্রতি মাসেই প্রয়োজনীয় পরিমাণ ভ্যাকসিন হাতে আসছে। এর মধ্যেই, সাত কোটি প্রথম ডোজ, পাঁচ কোটি ডাবল ডোজসহ ১২ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, লক্ষ্য পূরণ করতে বুস্টার ডোজসহ মোট ২৮ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন প্রয়োজন হবে। সেক্ষেত্রে, সরকারের ৩১ কোটি ডোজ ভ্যাকসিনের সংস্থান রয়েছে। সে হিসাবে আরও তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিন উদ্বৃত্ত থাকবে। ইতোমধ্যে স্কুল পর্যায়সহ বস্তিতে গিয়েও ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ইডিসিএল’র উৎপাদন চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। দেশের পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে নানারকম ওষুধের উৎপাদনের চাহিদাপত্রও পাচ্ছে ইডিসিএল। কিন্তু, সে তুলনায় ইডিসিএল স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়।
তিনি বলেন, অবকাঠামোগত দুর্বলতা, যন্ত্রপাতির ঘাটতি, ফ্যাক্টরির জায়গা স্বল্পতাসহ এখানে নানান সমস্যা রয়েছে। এজন্য ইডিসিএল’র জন্য একটি অত্যাধুনিক মানের কারখানা নির্মাণের বিল এখন একনেকে রয়েছে। এটি দ্রুতই সম্পন্ন হয়ে যাবে। এসব উদ্যোগ সম্পন্ন করার পর ইডিসিএল আরও বেশি শক্তিশালী হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ করোনা মোকাবিলায় বিশ্ববাসীর প্রশংসা পেয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশ প্রথম হয়েছে। ব্লুমবার্গ প্রশংসা করেছে। ১২০টি হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন করা হয়েছে। ফিল্ড হাসপাতাল করা হয়েছে। হাসপাতাল বেড বাড়ানো হয়েছে। দেশে করোনার সময় কোথাও ওষুধ বা অক্সিজেন সংকট দেখা দেয়নি।
তিনি বলেন, সঠিক চিকিৎসা গাইডলাইন ছিল বলেই করোনা এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সামনে ওমিক্রনে আবার চাপ বাড়তে পারে। সেক্ষেত্রে শুধু ভ্যাকসিন ওমিক্রন ঠেকাবে না। আমাদের স্বাস্থ্যবিধি যথার্থ নিয়মে মানতে হবে। তাহলেই ওমিক্রন ছড়াবে না বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। ওমিক্রন মোকাবিলায় সবাইকে মাস্ক পরতে হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন। সভায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ইডিসিএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এহসানুল কবির। এতে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশিদ আলম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর শারফুদ্দিন আহমেদ, পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু, ডিজিডিএ’র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমানসহ অন্যান্যরা।
সারাবাংলা/এসবি/একেএম