২০২২ সালের মধ্যে পৃথিবী থেকে করোনাভাইরাস মহামারির অবসানের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউইচও) প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেইসাস।
শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) লিঙ্কডইনে প্রকাশিত নতুন বছরের বার্তায় তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
তিনি বলেন, দুই বছরে এই ভাইরাসের ব্যাপারে ভালভাবে জানা গেছে। মাস্ক ব্যবহার, ভিড় এড়ানো, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, বায়ুপ্রবাহ ঠিক রাখা, করোনা পরীক্ষা করা এবং সংক্রমণের উৎস খোঁজার মাধ্যমে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের শিক্ষা পাওয়া গেছে।
ডব্লিউইচও প্রধান বলেন, চিকিৎসা ব্যবস্থার কারণে করোনায় গুরুতর অসুস্থ ও আক্রান্তদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বেড়েছে। এসব শিক্ষা এবং সামর্থ্য দিয়ে মহামারির অবসান ঘটানোর সুযোগ রয়েছে।
তবে, তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যে যত বৈষম্য হবে, মহামারি তত দীর্ঘায়িত হবে।
দুই বছরে করোনার মোকাবিলার সরঞ্জামগুলো অসমভাবে বিতরণ করা হয়েছে। আফ্রিকায় প্রতি চার জন স্বাস্থ্যকর্মীর তিন জনই ভ্যাকসিন পাননি। সেখানে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে তৃতীয় বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে, বলেন টেড্রোস।
নতুন বছরের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান জানান, ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে বৈশ্বিক ভ্যাকসিন কর্মসূচির আওতায় বিশ্বের ৭০ শতাংশ মানুষের ভ্যাকসিন নিশ্চিত করতে সরকারগুলোর সঙ্গে কাজ করবেন।