আইন নয়, শেখ হাসিনার প্রতিহিংসাই বাধা: ফখরুল
১ জানুয়ারি ২০২২ ১৬:১৩
ঢাকা: ‘বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার ক্ষেত্রে প্রচলিত আইন কোনো বাধা নয়, বরং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত প্রতিহিংসাই বাধা’- এমনটিই অভিযোগ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার (১ জানুয়ারি) চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানে কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ অভিযোগ করেন। ছাত্রদলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনটির নেতাদের নিয়ে সেখানে যান বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে যে বন্দি করে রাখা হয়েছে এবং সাজা দেওয়া হয়েছে, এটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে। তাকে যে চিকিৎসার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না, সেটাও কোনো আইনি বিষয় নয়, সম্পূর্ণ রাজনৈতিক বিষয়, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বিষয়।’
‘শেখ হাসিনা ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার কারণেই এ ধরনের অবস্থা তৈরি করে রেখেছে, যাতে খালেদা জিয়া চিকিৎসার সুযোগ না পান এবং তিনি যেন ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকেই চলে যান। সুতরাং এর দায়-দায়িত্ব সমস্ত সরকারকেই বহন করতে হবে এবং এর পরিণতি যদি খারাপ হয়, তার দায়-দায়িত্বও তাদেরকেই বহন করতে হবে’- বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রাজপথে আন্দোলনে ছাত্রদলের ভূমিকা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল একটি ঐতিহ্যবাহী ছাত্রসংগঠন। তারা প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বাংলাদেশের ছাত্রদের অধিকার আদায়ের জন্য, বাংলাদেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য এবং শিক্ষাকে গণমুখী করা জন্য এবং শিক্ষার উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকের এই দিনে ছাত্রদল যখন জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছে, তখন গণতন্ত্রের আপসহীন নেত্রী, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় অতন্দ্র প্রহরী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বন্দি অবস্থায় জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন। সে কারণে ছাত্রদলের নেতারা শপথ নিয়েছে- দেশনেত্রীর মুক্তি, তার সুচিকিৎসা করার জন্য বাইরে পাঠানো এবং গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করার যে আন্দোলন, সেই আন্দোলনকে আরও বেগবান করবে।’
‘আমরা আন্দোলন করছি, আন্দোলন আরও বেগবান হবে এবং নিঃসন্দেহে আন্দোলনের মধ্য দিয়েই বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব’- বলেন বিএনপির মহাসচিব।
রাষ্ট্রপতির সংলাপ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা তো এই সংলাপকে অর্থহীন মনে করছি। আমরা মনে করি বর্তমান যে রাজনৈতিক সংকট, সেই সংকটটা নির্বাচন কমিশন গঠনের সংকট নয় বা আইন তৈরি করারও সংকট নয়। প্রধান যে সংকট হচ্ছে, সেটি হলো নির্বাচনকালীন কোন রকম সরকার থাকবে? যদি আওয়ামী লীগ থাকে তাহলে নির্বাচন কমিশন গঠনের মূল্যই থাকতে পারে না, কোনো অর্থই থাকতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকালীন একটা নিরপেক্ষ সরকার থাকতে হবে, যারা একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করে নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করবে।’
নতুন বছরের প্রত্যাশা সম্পর্কে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশ, দেশের মানুষ, গণতন্ত্র এবং গণতন্ত্রের আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন- এটাই নতুন বছরের প্রত্যাশা।’
সারাবাংলা/এজেড/এএম