দেশের অর্থনীতির আকার ৫০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে: অর্থমন্ত্রী
২ জানুয়ারি ২০২২ ১৫:৩৯
ঢাকা: বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার আগামী অর্থবছরেই ৫০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
তিনি বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতির আয়তন ১০০ বিলিয়ন ডলার স্পর্শ করতে স্বাধীনতার প্রথম ৩৮টি বছর সময় লেগেছিল। তার বিপরীতে সেখানে মাত্র ১২ বছরে প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী পরিকল্পনা ও তার সঠিক বাস্তবয়ানের ফলে আমাদের অর্থনীতির আকার চার গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ৪১১ বিলিয়ন ডলারে স্পর্শ করেছে। আমরা বিশ্বাস করি, আগামী অর্থবছরেই তা ৫০০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করবে।’
রোববার (২ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের স্বীকৃতি উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান হিসাবে গণভবন থেকে ভার্চয়াল্লি যুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অর্থমন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘গত ১২ বছরে বাংলাদেশের অভাবনীয় অর্জন, রুপকথার গল্পের মতোই। সারাবিশ্বে বাংলাদেশ প্রবৃদ্ধি অর্জনে প্রথম স্থান অর্জন করেছে। এমনকি করোনার সময় যখন সারাবিশ্বের অর্থনীতি ৩.১ শতাংশ সংকোচিত হয়েছে, সেইসময়ও বাংলাদেশের অর্থনীতির সকল সূচক ছিল ঊর্ধ্বমুখী।’
তিনি বলেন, ‘গত ১২ বছরে আমাদের দরিদ্রের হার অর্ধেক হ্রাস পেয়েছে। শিক্ষার হার ৫৪ শতাংশ থেকে বেড়ে ৭৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। গত এক যুগে প্রায় ২ কোটি ১০ লাখ নতুন কর্মসংস্থান আমরা সৃষ্টি করেছি। এ সময় আমাদের মাথাপিচু আয় ৬৮৬ ডলার থেকে চার গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ২০৫৪ ডলার অতিক্রম করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের রেমিট্যান্স আয় ৪.৯ বিলিয়ন ডলার থেকে তিন গুণের বেশি বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ২৫ বিলিয়ন ডলার স্পর্শ করেছে। পণ্য সেবা রফতানি তিন গুণ বেড়ে ৪৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীতি হয়েছে।’
আগামী অর্থবছরে দেশের রিজার্ভ ৫০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করে অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৬.১ বিলিয়ন ডলার থেকে ৭ গুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়ে এখন ৪৭ বিলিয়ন ডলার। আমাদের প্রত্যাশা চলতি অর্থবছরে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৫০ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক স্পর্শ করবে।’
অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদের অন্যান্য সদস্য, বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিসহ রাজনৈতিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/ইএইচটি/একে