ব্যবসা বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা চান রুগ্ন শিল্পের মালিকরা
২ জানুয়ারি ২০২২ ১৭:৫৯
ঢাকা: ব্যবসা বাঁচাতে রুগ্ন শিল্পের মালিকরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহায়তা চেয়েছেন। শিগগিরই এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তারা।
রোববার (২ জানুয়ারি) ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই কার্যালয়ে রুগ্ন শিল্পের পুনর্বাসন সংক্রান্ত এফবিসিসিআই স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রথম সভায় রুগ্ন শিল্পের মালিকরা প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা চেয়েছেন।
মালিকরা বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর রুগ্ন শিল্পের পুনর্বাসন ও দায়দেনা নিষ্পত্তির জন্য ২০০৯ সালে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠন করেছিল। তারা রুগ্ন শিল্পগুলোকে গার্মেন্টস, টেক্সটাইল ও নন-টেক্সটাইল— এই তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করে। পরবর্তী সময়ে টাস্কফোর্সের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সার্কুলার জারি করে গার্মেন্টস খাতের ২৭৯টি ও টেক্সটাইলের ১০০টি কারখানার দায়দেনা অবসায়ন করেছিল সরকার। কিন্তু নন-টেক্সটাইল খাতের কোনো কারখানা এখনো এ সুবিধা পায়নি।
তারা আরও বলেন, এসব শিল্প রুগ্ন হলেও ব্যাংকগুলো মালিকদের খেলাপি দেখিয়ে অর্থঋণ আদালতে মামলা করেছে। সে কারণে তারা নতুন ব্যবসায়িক উদ্যোগও নিতে পারছেন না। টাস্কফোর্সের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সার্কুলার জারির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ে নানা সময়ে বৈঠক করলেও এ বিষয়ে সুরাহা হয়নি। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্যই প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা চান রুগ্ন শিল্পের মালিকরা।
এফবিসিসিআই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় কমিটির চেয়ারম্যান ছাদেক উল্ল্যাহ চৌধুরী বলেন, রুগ্ন শিল্পের পুনর্বাসনের জন্য ১৯৯৮ সালে মুন্সেফ কমিটি গঠন করা হয়েছিল। রুগ্ন শিল্প পুনর্বাসনে একশ কোটি টাকার তহিবল গঠন করেছিল তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। পরে এ সংক্রান্ত কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। তবে ২০০৮ সালে এফবিসিসিআইয়ের উদ্যোগে নতুন করে রুগ্ন শিল্পের ডাটাবেজ তৈরি হয়।
স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু। তিনি জানান, রুগ্ন শিল্পকে সহায়তা ও পুনর্বাসনের জন্য এফবিসিসিআইতে একটি আলাদা ডেস্ক গঠন করা হবে। একইসঙ্গে প্রতিটি চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশনকে তাদের আওতাভুক্ত শিল্পের রুগ্ন প্রতিষ্ঠানের তালিকা তৈরির জন্য চিঠি দেওয়া হবে।
কিনি বলেন, তালিকা পাওয়ার পর অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে নতুন করে রুগ্ন হওয়া শিল্পকে পুনর্বাসনের জন্য পদক্ষেপ নেবে এফবিসিসিআই। এছাড়া রুগ্ন শিল্পকে বাঁচাতে এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহায়তা করার আশ্বাস দেন এফবিসিসিআই’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট।
কমিটির ডিরেক্টর-ইন-চার্জ তাহমিন আহমেদ বলেন, রুগ্ন শিল্পের মালিকদের বাঁচাতে সহায়তা কামনা এবং পোশাক ও বস্ত্র খাতের বাইরে থাকা রুগ্ন কারখানার ঋণ দায়মুক্তির অনুরোধ করে শিগগিরই প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠানো হবে।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন স্ট্যান্ডিং কমিটির কো-চেয়ারম্যান নাসির উদ্দীন এ ফেরদৌস, এম নজরুল ইসলাম, সরকার মো. সালাউদ্দিন, এ কে এম খোরশেদ আলম খানসহ অন্য সদস্যরা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজুল হক।
সারাবাংলা/ইএইচটি/টিআর
