Tuesday 26 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সংসদ নির্বাচনের আগেই বে-টার্মিনালের কাজ শুরু: নৌ প্রতিমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২ জানুয়ারি ২০২২ ১৯:৫৯

চট্টগ্রাম ব্যুরো : আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই চট্টগ্রাম বন্দরের বে-টার্মিনালের কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

রোববার (০২ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দরে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী একথা জানান।

চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন হলেও বে-টার্মিনাল প্রকল্পে ধীরগতি নিয়ে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা অনেক দূর এগিয়ে গেছি। জমি অধিগ্রহণে কিছুটা দুর্বলতা দেখতে পাচ্ছি। তিনটি টার্মিনালের মধ্যে একটি পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) ভিত্তিতে নির্মাণ হবে। পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে চূড়ান্ত করা হয়েছে। দায়িত্ব দিতে পারলেই কার্যক্রম শুরু হয়ে যাবে। সিঙ্গাপুর, ডেনমার্ক, তুরস্ক ও ফ্রান্স ও ভারত এখানে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ দেখিয়েছে। আমরা দেশের স্বার্থ রক্ষা করেই চুক্তি করব।’

এদিন নৌ প্রতিমন্ত্রী চট্টগ্রাম বন্দরের চারটি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। সেগুলো হলো— সদরঘাট এলাকায় এক নম্বর জেটির পাশে সার্ভিস জেটি, উদ্ধারকারী জাহাজ কান্ডারি-৬, ওভারফ্লো ইয়ার্ড এবং সুইমিং কমপ্লেক্স।

সকালে সার্ভিস জেটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মাতারবাড়ি বন্দরের কাজ এগিয়ে চলেছে, পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালের (পিসিটি) কাজ শেষ পর্যায়ে, বে-টার্মিনালের কাজ শুরু হবে। মেরিটাইম বিশ্বে আঞ্চলিক হাব হয়ে ওঠবে চট্টগ্রাম বন্দর। এরই মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এখানে বিনিয়োগ করতে চট্টগ্রাম বন্দর ও নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ে ধর্ণা দিচ্ছে। দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি ও গেটওয়ে চট্টগ্রাম বন্দর। বিগত সময়ের চেয়ে বন্দর আরও গতিশীল হয়েছে। এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান বন্দরের বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রমের চিত্র তুলে ধরে জানান, বর্তমানে বন্দর জেটিতে ভিড়তে কোনো জাহাজকে অপেক্ষা করতে হয় না। এতে সময়ের পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হচ্ছে। ১৩৫ বছরের রেকর্ড ভেঙে সদ্য বিদায়ী বছরে ৩২ লাখ ১৪ হাজারের বেশি কনটেইনার হ্যান্ডলিং করা হয়েছে। কনটেইনার ধারণক্ষমতার সক্ষমতাও বেড়েছে। কয়েক মাসের মধ্যে পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালের কার্যক্রম শুরু হবে।

উল্লেখ্য, বন্দরের পুরনো ডক লেবার কলোনির পাশে ‘নিউমুরিং ওভার ফ্লো কনটেইনার ইয়ার্ড’ চালু হয়েছে। সেখানে ৪ হাজার গ্রাউন্ড ফ্লোরে চার স্তর করে রাখলে ১৬ হাজার একক কনটেইনার রাখা সম্ভব হবে।

নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনিসিটি) এবং চট্টগ্রাম কনটেইনার টার্মিনাল (সিসিটি) থেকে যেসব কনটেইনার ডেলিভারি দেওয়া হতো সেগুলো এখন নতুন ‘ওভার ফ্লো ইয়ার্ড’ থেকেই ডেলিভারি দেওয়া হবে। এতে বন্দরের মুল জেটির ওপর চাপ কমবে এবং এনসিটি-সিসিটিতে বাড়তি কনটেইনার রাখা যাবে।

সাড়ে ৩৪ একর জমির পর এই ‘নিউমুরিং ওভার ফ্লো কন্টেইনার ইয়ার্ড’ নির্মিত হয়েছে। নির্মাণে প্রায় ১৭২ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। এছাড়া সার্ভিস জেটি নির্মাণে ৮২ কোটি, সুইমিং কমপ্লেক্স নির্মাণে ৩ কোটি ৩৩ লাখ এবং টাগ বোট কান্ডারি-৬ সংগ্রহে খরচ হয়েছে প্রায় ৩৮ কোটি টাকা।

সারাবাংলা/আরডি/একে

খালিদ মাহমুদ নৌমন্ত্রী বে -টার্মিনাল

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর