১৪৪ ধারা: সমাবেশের সিদ্ধান্তে অনড় যুবলীগ-বিএনপি
৩ জানুয়ারি ২০২২ ০৯:২৮
কক্সবাজার: জেলা শহরে মাত্র ১০০ গজের মধ্যে একই সময়ে বিএনপি এবং যুবলীগের কর্মসূচি ঘোষণা করার পর অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন।
সোমবার (৩ জানুয়ারি) শহরের শহিদ সরণিস্থ জেলা বিএনপির কার্যালয় ও কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার এলাকার ২০০ গজ ব্যাসার্ধজুড়ে যে কোনো ধরনের সভা-সমাবেশ এবং মিছিল-মিটিংসহ জনসমাগম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সকাল ৮ টা থেকে রাত ১২ টা পর্যন্ত প্রশাসনের এ নির্দেশনা কার্যকর থাকবে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও মুক্তির দাবিতে জেলা বিএনপির মহাসমাবেশ এবং সরকারের তিন বছরপূর্তি উপলক্ষে যুবলীগের বিজয় উৎসব আয়োজনকে ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রশাসন এ নির্দেশনা জারি করেছে।
রোববার (২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় এ নির্দেশনা জারির বিষয়টি নিশ্চিত করেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. আবু সুফিয়ান।
এর আগে সারাদেশে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত ৩০ ডিসেম্বর কক্সবাজারে জেলা বিএনপির মহাসমাবেশ অনুষ্টিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, খ্রিস্টীয় নববর্ষকে কেন্দ্র করে বিপুল সংখ্যক পর্যটক সমাগমের বিষয়টি বিবেচনা করে জেলা বিএনপি সমাবেশ পিছিয়ে ৩ জানুয়ারি দিন ধার্য করে।
অন্যদিকে, সরকারের তিন বছর পূর্তি উপলক্ষে ৩০ ডিসেম্বর কক্সবাজার পাবলিক লাইব্রেরীর শহীদ দৌলত ময়দানে বিজয় উৎসব পালনের কর্মসূচি দেয় জেলা যুবলীগ। কিন্তু গত ২৮ থেকে ৩০ ডিসেম্বর শহীদ দৌলত ময়দান মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা চলায় কর্মসূচি পিছিয়ে দেওয়া হয়। পরে, গণমাধ্যমে প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে ৩ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ওই কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) আবু সুফিয়ান বলেন, কক্সবাজার শহরে মাত্র ৩০ থেকে ৫০ গজের মধ্যে একই সময়ে দুইটি রাজনৈতিক সংগঠনের কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়ায় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছে।
প্রশাসনিক নির্দেশনা বাস্তবায়নে ঘটনাস্থলে ও মাঠে চার জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত নিয়োজিত থাকবে। এছাড়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নিতে পুলিশ ও র্যাবসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, জানান আবু সুফিয়ান।
এ ব্যাপারে জেলা যুবলীগের সভাপতি সোহেল আহমেদ বাহাদুর জানান, সোমবার সকাল থেকে শহিদ মিনারের উৎসবস্থলে মঞ্চ তৈরি ও অনুষ্ঠান আয়োজনের কাজ শুরু হবে। কর্মসূচি সফল করতে প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে।
অপরদিকে সাবেক সাংসদ ও বিএনপির কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী বিষয়ক সম্পাদক লুৎফুর রহমান কাজল বলেন, সোমবার দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন মঞ্চ তৈরিসহ সমাবেশ সফল করতে সবধরনের প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। যে কোনো মূল্যে সমাবেশ সফল করা হবে।
সারাবাংলা/একেএম