কর্ণফুলী রক্ষার দাবিতে ‘ভাসমান জলযানে’ সংবাদ সম্মেলন
৩ জানুয়ারি ২০২২ ১৮:৪১
চট্টগ্রাম ব্যুরো: কর্ণফুলী নদী রক্ষায় প্রশাসনসহ সরকারি বিভিন্ন সংস্থার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ভাসমান জলযানে সংবাদ সম্মেলন করেছে ‘চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলন’ নামে একটি সংগঠন। সংগঠনটি কর্ণফুলী নদীর আনু মাঝির ঘাট থেকে হালদার মোহনা পর্যন্ত এলাকা রক্ষা এবং অবৈধ দখলদার উচ্ছেদের দাবি জানিয়েছে।
সোমবার (৩ জানুয়ারি) সকালে নগরীর ফিরিঙ্গিবাজার অভয়মিত্র ঘাটে নৌকায় এ সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়। নৌকাটি কর্ণফুলী নদীপথে চাক্তাই-রাজাখালী খালের মোহনা হয়ে কালুরঘাট ব্রিজ ঘুরে বাংলাবাজার পর্যন্ত যায়। চলতিপথেই অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি চৌধুরী ফরিদ। লিখিত বক্তব্য পড়েন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনোকুমার দেব আর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন সাধারণ সম্পাদক আলীউর রহমান।
আলীউর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, ‘কর্ণফুলী নদীর দুই পাড়ের বিবর্ণদশা সাংবাদিকদের সরেজমিনে দেখাতে এবং নদী রক্ষা করা যাদের দায়িত্ব তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ভাসমান নৌকায় সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন আমরা করেছি। কর্ণফুলী নদী দখলমুক্ত করতে আমরা ১৫ দিনের মধ্যে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হব।’
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, কর্ণফুলী নদী থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে জেলা প্রশাসন ২০১৬ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত অসংখ্য নোটিশ ইস্যু করেছে। কিন্তু উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়নি। মাঝে একবার শুরু হলেও অজ্ঞাত কারণে বন্ধ হয়ে গেছে। ২০১০ সালে হাইকোর্ট কর্ণফুলী নদী ও তীর দখলকারী ব্যক্তিদের তালিকা প্রকাশ করার নির্দেশ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ২০১৪ সালে কর্ণফুলী নদীর তীর জরিপ করে ২ হাজার ১৮১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে কর্ণফুলী নদী দখলকারী হিসাবে চিহ্নিত করে হাইকোর্টকে অবহিত করে।
এই দখলদারদের বিরুদ্ধে গত সাত বছরে কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে- জানতে চাওয়া হয় সংবাদ সম্মেলনে।
ভাসমান জলযানে সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন—নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার দাশ , সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম পেয়ার আলী, নির্বাহী সদস্য জাফর আহমদ, লোকমান দয়াল, জসিম উদ্দিন, এরাশাদ উল্লাহ।
সারাবাংলা/আরডি/এসএসএ