Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ভ্যাকসিন ছাড়া খাবার মিলবে না রেস্টুরেন্টে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
৩ জানুয়ারি ২০২২ ২০:১৬

ভ্যাকসিন ছাড়া রেস্টুরেন্টে বসে খাওয়ার সুযোগ থাকবে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী [প্রতীকী ছবি]

ঢাকা: করোনাভাইরাসের প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে প্রতিরোধ ব্যবস্থায় জোর দিচ্ছে সরকার। এ ক্ষেত্রে মাস্ক পরাসহ ভ্যাকসিন নেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়া হবে বেশি। যারা ভ্যাকসিন নিয়েছেন তারা মাস্ক পরে স্বাভাবিকভাবে সবকিছু করতে পারবেন। তবে ভ্যাকসিন নেওয়া না থাকলে কেউ রেস্টুরেন্টে বসে খাবার খেতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। ১৫ দিন পর থেকেই এই নিয়ম কার্যকর করা হবে।

সোমবার (৩ জানুয়ারি) সচিবালয়ে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক গণমাধ্যমকর্মীদের এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সবাইকে ভ্যাকসিন নেওয়ার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। যারা ভ্যাকসিন নিয়েছেন তারা রেস্টুরেন্টে খেতে পারবেন, অফিসে যেতে পারবেন, স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে পারবেন। তবে এই কাজগুলো তারা করতে পারবেন মাস্ক পরা অবস্থায়। কিন্তু ভ্যাকসিন না নেওয়া থাকলে কেউ রেস্টেুরেন্টে খেতে পারবেন না।

আরও পড়ুন- মার্চ-এপ্রিলে বাড়তে পারে সংক্রমণ— আশঙ্কা স্বাস্থ্য অধিদফতরের

জাহিদ মালেক আরও বলেন, কেউ রেস্টুরেন্টে গিয়ে খেতে চাইলে তাকে ভ্যাকসিন কার্ড দেখিয়ে বলতে হবে যে তিনি ভ্যাকসিন নিয়েছেন। তাহলেই তাকে সেই রেস্টুরেন্ট এন্টারটেইন করবে। যদি কোনো রেস্টুরেন্ট ভ্যাকসিন না নেওয়া কাউকে এন্টারটেইন করে, তাহলে সেই রেস্টুরেন্টকেও জরিমানা করা হবে।

কবে নাগাদ এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে— গণমাধ্যমকর্মীদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এর জন্য ১৫ দিন সময় দেওয়া হবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। এরপর থেকেই এই নিয়ম কার্যকর করা হবে।

বিজ্ঞাপন

তবে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে লকডাউন জারির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, লকডাউনের পরিস্থিতি এখনো হয়নি। আমরা সুপারিশও করিনি। লকডাউনের পর্যায় পর্যন্ত যেন না যেতে হয়, সেজন্যই এই বৈঠক। যা যা পদক্ষেপ নেওয়ার, সেগুলো নিই। এরপর দেখা যাক পরিস্থিতি কী দাঁড়ায়।

আরও পড়ুন- ‘কো-মরবিডিটি থাকলে কম বয়সীরাও বুস্টার ডোজ পাবেন’

করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে মাস্ক না পরলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানার বিধানও চালু করার কথাও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, এর পাশাপাশি বন্দরগুলোতে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানো হবে। গণপরিবহনে নির্দিষ্টসংখ্যক আসন ফাঁকা রেখে যাত্রী পরিবহন করতে বলা হবে। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন গ্রহণ নিশ্চিত করতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে সব ধরনের সহায়তাও দেবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

এর আগে, আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে প্রায় সব মন্ত্রণালয়ের সচিবরা উপস্থিত ছিলেন। তাদের সঙ্গে আট বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসকরাও যুক্ত ছিলেন ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে। আরও যুক্ত ছিলেন বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিরা। এছাড়া স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, আট বিভাগের বিভাগীয় পরিচালক, জেলাগুলোর সিভিল সার্জনরাও উপস্থিত ও ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে যুক্ত ছিলেন বৈঠকে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সবার উপস্থিতিতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সার্বিক প্রস্তুতির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বেশকিছু সিদ্ধান্তও হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এসব সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানানো হবে।

সারাবাংলা/এসবি/টিআর

করোনা ভ্যাকসিন করোনা সংক্রমণ ভ্যাকসিন রেস্টুরেন্ট স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর