Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

হত্যা মামলায় ৩ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল, ৮ জন খালাস

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৩ জানুয়ারি ২০২২ ২০:৩৫

ফাইল ছবি: হাইকোর্ট

ঢাকা: নোয়াখালী শহরের ব্যবসায়ী ও দোকান কর্মচারীকে হত্যায় বিচারিক আদালতে দেওয়া তিন জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল ও মত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আট জনকে খালাস দিয়ে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়া রায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ডদেশ কমিয়ে ১০ বছরের সাজা দিয়েছেন উচ্চ আদালত।

সোমবার (৩ জানুয়ারি) বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ ডেথ রেফারেন্স, জেল আপিল ও আপিল শুনানি শেষে এই রায় দেন।

বিজ্ঞাপন

রায়ে যে তিন আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রাখা হয়েছে তারা হলেন- কামরুল হাসান প্রকাশ ওরফে সোহাগ, রাশেদ ড্রাইভার ও কামাল হোসেন প্রকাশ ওরফে এলজি কামাল। এছাড়া আবদুস সবুরকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

হাইকোর্টে খালাস পাওয়া আসামিরা হলেন- মোফাজ্জেল হোসেন, তোফাজ্জল হোসেন, সামছুদ্দিন, সাহাব উদ্দিন, জাফর হোসেন, আলী আকবর, নাসির উদ্দিন ও আবু ইউছুফ।

এদিন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল শাহীন আহমেদ খান। আসামিদের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন, আইনজীবী হেলাল উদ্দিন মোল্লা, আজাহার উল্লাহ ভুঁইয়া ও মোহাদ্দেসুল ইসলাম টুটুল। পলাতক আসামিদের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী সাধন কুমার বণিক।

আইনজীবী আজাহার উল্লাহ ভুঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘আদালত আজ রায়ে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত ১২ জনের মধ্যে ৮ জনকে খালাস দিয়ে রায় দিয়েছেন। ঘটনার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকার বিষয়ে স্বীকারোক্তি বিবেচনায় নিয়ে তিন আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখেছেন। আরেক আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ কমিয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। তবে তিনজন পলাতক রয়েছেন। তাদের আত্মসমর্পণ অথবা গ্রেফতার করতে বলা হয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘মহামান্য হাইকোর্ট রায় ঘোষণার সময় উষ্মা প্রকাশ করেছেন যে, আইন ও সাক্ষ্য-প্রমাণ যথাযথভাবে বিবেচনায় না নিয়ে খেয়ালিভাবে (বিচারিক আদালত) এ রায় দিয়েছেন, যেটা উচিত নয়।’

তিনি জানান, আরও সাবধানতার সঙ্গে সাক্ষ্য-প্রমাণ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এবং আইনকে যথাযথভাবে বিবেচনায় রেখে এ ধরনের মামলাগুলো নিষ্পত্তির জন্য উচ্চ আদালত তাগিদ দিয়েছেন।

এদিকে ডেপুটি এটর্নি জেনারেল শাহীন আহমেদ খান বলেছেন, ‘এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে।’

উল্লেখ্য, নোয়াখালী শহরের ব্যবসায়ী ও দোকান কর্মচারীকে হত্যা মামলায় ২০১৬ সালের ২৩ মার্চ ১২ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন নোয়াখালীর দ্বিতীয় অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক এ এন এম মোরশেদ খান। আর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বেকসুর খালাস দেওয়া হয় ১০ আসামিকে। নিয়ম অনুসারে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামি হাইকোর্টে আপিল করেন।

২০০৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাতে নোয়াখালী শহরের জামে মসজিদ মোড় এলাকার মোবাইল ফোনের দোকান বন্ধ করে দুই ভাই ফিরোজ কবির, সামছুল কবির এবং দোকান কর্মচারী সুমন পাল বাসায় ফিরছিলেন। পথে নাপিতের পোল এলাকায় তারা ডাকাতের কবলে পড়েন। ডাকাতরা তিন জনকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে সড়কের পাশে ফেলে দেয়। এছাড়া সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন, প্রি-পেইড কার্ডসহ ১০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে। আশপাশের লোকজন তাদের উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসক সুমন পালকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত ফিরোজ কবির ও সামছুল কবিরকে ঢাকায় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ফিরোজ কবির।

এ ঘটনায় ২০০৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারি নিহত ফিরোজ কবিরের বাবা আবু বকর ছিদ্দিক অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা ও ডাকাতির অভিযোগে জেলার সুধারাম থানায় মামলা করেন। সূত্র: বাসস।

সারাবাংলা/পিটিএম

মৃত্যুদণ্ড হত্যা মামলা

বিজ্ঞাপন

মাদকের টাকার জন্য মা'কে খুন
২৩ নভেম্বর ২০২৪ ০৮:৫৭

আরো

সম্পর্কিত খবর