ঢাকা: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যে অসমাপ্ত কাজ ছিল, তার যে স্বপ্ন ছিল সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার জন্য তারই হাতে প্রতিষ্ঠিত সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এখন দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতারা।
তারা বলেন, এদেশের ক্রান্তিলগ্ন থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি অর্জনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের অর্জন রয়েছে। করোনা মহামারির মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও প্রত্যেক নেতাকর্মী তাদের সাধ্যমত মানুষের জন্য কাজ করেছে। এখন আবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলেছে। এখন সকল সাংগঠনিক ইউনিটে দ্রুত সময়ের মধ্যে গঠনতান্ত্রিকভাবে নতুন কমিটির মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব তৈরি করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়ন করার জন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কাজ করবে। আজকের দিনে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) সকালে ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সামনে এসব কথা বলেন তারা।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, আজ গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম এবং সাফল্যের ৭৪ বছর। ১৯৪৮ সালের ৪ঠা জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেন এদেশের শিক্ষার্থী এবং এদেশের মানুষের পাশে থেকে কাজ করার জন্য। সেই ধারাবাহিকতা রক্ষা করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আজকে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে আমরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেছি।
তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সবসময় একটি কথা বিশ্বাস করি, সেটা হচ্ছে তরুণ প্রজন্মের আলোকবর্তিকা হয়ে এই সংগঠনটি যুগের পর যুগ সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। আজকে জাতির পিতার যে অসমাপ্ত কাজ ছিল, তার যে স্বপ্ন ছিল সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার জন্য তারই হাতে প্রতিষ্ঠিত সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এখন দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। এদেশের ক্রান্তিলগ্ন থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি অর্জনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের অর্জন রয়েছে।
আগামীর নেতৃত্বে তরুণরাই থাকবে উল্লেখ করে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে ছাত্রলীগ তরুণ সমাজকে নিয়ে এগিয়ে যাবে বলে আশাবাদ করেন ছাত্রলীগ সভাপতি জয়।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৪ বছরের ইতিহাস বাংলাদেশের বাংলাদেশ স্বাধীন করার ইতিহাস, বাংলাদেশকে শত্রুমুক্ত করে লাল-সবুজের স্বাধীন পতাকা উত্তোলন করার ইতিহাস সৃষ্টিকারী সংগঠন।
তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আমরা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সকল নেতাকর্মীকে মুজিবীয় শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। আজকে আমাদের আহ্বান থাকবে, আমরা এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী থেকেই শপথ গ্রহণ করব, বিগত দুই বছর ধরে করনো মহামারির কারণে আমাদের যে সাংগঠনিক স্থিতিশীলতা তৈরি হয়েছে তা দূর করতে হবে। সকলে মিলে যেভাবে করোনা মহামারিকালীন সময়ে মানবসেবা এবং মানুষের সাহায্য করার জন্য যেভাবে ঝাপিয়ে পড়েছিলাম, আমাদের নিজেদের সংগঠনকে গোছানোর জন্য এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সেভাবে কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের কিছু জটিলতা সৃষ্টি হওয়ার কারণে তৃণমূল থেকে ঢেলে সাজানোর সুযোগ হয়নি। আবার করনো মহামারির কারণে সকল ধরনের কার্যক্রম আমাদের স্থগিত ছিল। এখন যেহেতু আবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলেছে এবং চালু হচ্ছে, আমরা সকল সাংগঠনিক ইউনিটে দ্রুত সময়ের মধ্যে সাংগঠনিক কাঠামো তৈরি করার জন্য গঠনতান্ত্রিকভাবে নতুন কমিটি দিবো। নতুন নেতৃত্ব তৈরি করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়ন করার জন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কাজ করবে। আজকের দিনে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
এর আগে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। প্রথমে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পক্ষে, এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ও ঢাকা মহানগর উত্তর- দক্ষিণ ছাত্রলীগের পক্ষে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে।