চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভোট দিতে হচ্ছে প্রকাশ্যে, মেম্বার গোপনে
৫ জানুয়ারি ২০২২ ১১:৪৩
ময়মনসিংহ থেকে: ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার ৭ নম্বর মশাখালী ইউনিয়নের বলদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র ঘুরে দেখা গেল, চেয়ারম্যান প্রার্থীর ব্যালট নিয়ে প্রকাশ্যে সিল মারছেন এজেন্টরা, তবে মেম্বার প্রার্থীর ভোটটি গোপনে দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। ৭-৮ জন যুবককে সঙ্গে নিয়ে এভাবেই ভোটারদের অধিকার হরণ করছেন নৌকার প্রার্থীর দুই এজেন্ট মোহাম্মদ আশরাফুল ও মো. এলাহী।
বুধবার (৫ জানুয়ারি) ভোট শুরুর পর ওই কেন্দ্রের ১ ও ২ নম্বর মহিলা বুথে এই চিত্র দেখা যায়। এই দুই বুথে সর্বমোট ভোটার রয়েছেন ৮৬১ জন।
ভোটারদের অভিযোগ, চেয়ারম্যান প্রার্থীকে তারা ভোট দিতে পারছেন না। নৌকা প্রার্থীর এজেন্ট এবং কর্মীরা চেয়ারম্যান প্রার্থীর ব্যালট নিয়ে নিজেরাই ভোট দিচ্ছেন। তারা কেবল মেম্বার প্রার্থী ব্যালটে ভোট দিতে পারছেন ইচ্ছামত।
এই অভিযোগের বিষয়ে কথা হলে মো. এলাহী বলেন, ‘অনেক ভোটার ভোট দিতে না পারায় তাদের সহযোগিতা করছি।’ প্রায় একই সুরে কথা বলেন আশরাফুলও।
অন্যদিকে বলদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৭ নম্বর বুথে (পুরুষ) ভোটারদের কাছ থেকে ব্যালট নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য দাবি করা মনির হোসেন নিজেই সিল মারছেন নৌকা প্রতীকে।
বর্তমান চেয়ারম্যান ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. মোস্তফা কামাল মনি বলেন, এটা আওয়ামী অধ্যুষিত এলাকা। ৮০ ভাগ ভোটার নৌকার। ভোট সুষ্ঠু হচ্ছে। আমি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।
অন্যদিকে তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী ফেরদৌস আলম সারাবাংলাকে বলেন, আমার এজেন্টদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। নৌকায় প্রকাশ্যে সিল মারা হচ্ছে। ভোটাররা শুধু মেম্বারের ভোট দিতে পারছেন।
প্রিজাইডিং অফিসার মো. রুহুল আমিন বলেন, আমার কাছে অভিযোগ আসার পর আনারস প্রতীকের এজেন্টদের থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। কোথাও কোনো সমস্যা নেই।
এই মশাখালী ইউনিয়নের আরেকটি কেন্দ্র মুখী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কোথাও আনারস প্রতীকের এজেন্ট নেই।
এখানকার প্রিজাইডিং অফিসার শাহ মো. কামরুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, কোনো এজেন্ট আসেনি। এজেন্ট না আসলে আমাদের কিছুই করার নাই।
সারাবাংলা/জিএস/এএম