Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কোকেন চোরাচালান মামলায় চার্জ শুনানি, আদেশ ২ ফেব্রুয়ারি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৫ জানুয়ারি ২০২২ ২১:৪৬

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম বন্দরে কোকেনের চালান জব্দের ঘটনায় চোরাচালান আইনে দায়ের হওয়া মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি শেষ হয়েছে। আদালত ২ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে আদেশের সময় নির্ধারণ করেছেন।

বুধবার (৫ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শরীফুল ইসলাম ভূঁইয়ার আদালতে ওই মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি হয়েছে।

চট্টগ্রাম মহানগর পিপি মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, চোরাচালানের অভিযোগে বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের হওয়া মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি সম্পন্ন হয়েছে। এদিন পাঁচ আসামি তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করেন এবং এর শুনানি সম্পন্ন হয়। আদালত ২ ফেব্রুয়ারি অভিযোগ গঠন ও মামলা থেকে অব্যাহতির বিষয়ে আদেশের দিন রেখেছেন।

আরও পড়ুন- চট্টগ্রাম বন্দরে কোকেন জব্দের মামলার বিচার শুরু

২০২০ সালের ২৯ জুন ১০ জনকে অভিযুক্ত করে বিশেষ ক্ষমতা আইনের ওই মামলায় অভিযোগপত্র জমা দিয়েছিল পুলিশ। অভিযুক্তরা হলেন— আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রামের খানজাহান আলী লিমিটেডের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ ও তার ভাই মোস্তাক আহম্মদ, কসকো-বাংলাদেশ শিপিং লাইনসের ব্যবস্থাপক এ কে এম আজাদ, সিকিউরিটিজ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মেহেদী আলম, সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, আবাসন ব্যবসায়ী মোস্তফা কামাল, প্রাইম হ্যাচারির ব্যবস্থাপক গোলাম মোস্তফা সোহেল, পোশাক রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান মণ্ডল গ্রুপের বাণিজ্যিক নির্বাহী আতিকুর রহমান, লন্ডনপ্রবাসী চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের ফজলুর রহমান ও মৌলভীবাজারের বকুল মিয়া।

বিজ্ঞাপন

এর মধ্যে গোলাম মোস্তফা সোহেল ও আতিকুর রহমান কারাগারে আছেন। জামিনে আছেন মেহেদী আলম, এ কে এম আজাদ, সাইফুল ইসলাম ও মোস্তফা কামাল। জামিনে গিয়ে পালিয়ে গেছেন নুর মোহাম্মদ। এছাড়া মোস্তাক আহম্মদ, ফজলুর রহমান ও বকুল মিয়া শুরু থেকেই পলাতক।

২০১৫ সালের ৬ জুন চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশের তৎকালীন অতিরিক্ত উপকমিশনার এস এম তানভির আরাফাতের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কোকেন সন্দেহে চট্টগ্রাম বন্দরে সূর্যমুখী তেলের চালান জব্দ করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। এরপর ২৭ জুন তেলের চালানের ১০৭টি ড্রামের মধ্যে একটি ড্রামের নমুনায় কোকেন শনাক্ত হয়। বলিভিয়া থেকে আসা চালানটির প্রতিটি ড্রামে ১৮৫ কেজি করে সূর্যমুখী তেল ছিল। পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের রাসায়নিক পরীক্ষাগারসহ চারটি পরীক্ষাগারে তেলের চালানের দু’টি ড্রামের নমুনায় কোকেন শনাক্ত হয়। চালানটি উরুগুয়ের মন্টিভিডিও থেকে জাহাজীকরণ করা হয়েছিল। পরে তা সিঙ্গাপুর হয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে আসে।

কোকেন জব্দের ঘটনায় চট্টগ্রামের বন্দর থানায় ২০১৫ সালের ২৭ জুন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়। আসামি করা হয় চালানটির আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান খানজাহান আলী লিমিটেডের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদকে। র‌্যাব নুর মোহাম্মদসহ ১০ জনকে আসামি করে ২০১৭ সালের ৩ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়।

মাদক আইনের ওই মামলায়ও বুধবার (৫ জানুয়ারি) সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। এদিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফরিদুল আলমের সাক্ষ্য দেওয়ার কথা ছিল। তিনি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনকালীন দায়িত্বে থাকায় ২ ফেব্রুয়ারি তার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের সময় নির্ধারণ হয়েছে বলে জানিয়েছেন পিপি ফখরুদ্দিন চৌধুরী। ওই মামলায় এরই মধ্যে ২১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আরডি/টিআর

কোকেন চোরাচালান কোকেন জব্দ মামলা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর