Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ওমিক্রন— পুলিশের জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুসরণসহ নানা নির্দেশনা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
৬ জানুয়ারি ২০২২ ২২:২৭

ঢাকা: করোভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণসহ স্বাস্থ্যসুরক্ষা নিশ্চিত করতে পুলিশ সদস্যদের প্রতি বিভিন্ন ধরনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, কর্তব্যরত অবস্থায় সামাজিক দূরত্ব অনুসরণসহ সুরক্ষা উপকরণ ও সরঞ্জাম ব্যবহার করতে হবে। সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনায় পরিবারের সদস্যদেরও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ নিশ্চিত করতে হবে।

বুধবার (৫ জানুয়ারি) বাংলাদেশ পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (অপারেশনস-২) মোহাম্মদ উল্ল্যার সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশেও এর প্রাদুর্ভাব দেখা যাচ্ছে। নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন প্রতিরোধে প্রত্যেক পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালনের সময় অবশ্যই মাস্ক, গ্লাভস, হেড কভার ও ফেস শিল্ড পরতে হবে। এছাড়া কিছু সময় পরপর হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে এবং নিয়মিত ডিউটি শেষে সাবান অথবা হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে।

ওমিক্রনের উপসর্গ দেখা দিলে আইসোলেশন সেন্টারে রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করার নির্দেশনা দিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রতিটি পুলিশ সদস্যকে দ্রুত করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নিতে হবে। পুলিশের সব ইউনিটে ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস এবং নো মাস্ক নো এন্ট্রি’ নির্দেশনা প্রতিপালন করতে হবে। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে মাস্কের ব্যবস্থা রাখতেও হবে।

সামাজিক দূরত্ব অনুসরণসহ আরও নির্দেশনা দিয়ে বলা হয়েছে, কর্তব্যরত অবস্থায় সব ক্ষেত্রে শারীরিক দূরত্ব (কমপক্ষে ৩ ফুট বা ১ মিটার), হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। সেবা গ্রহীতা ও দর্শনার্থীদের পুলিশ স্থাপনায় প্রবেশের ক্ষেত্রে শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ ও হাত ধোয়া অথবা স্যানিটাইজেশন নিশ্চিত করতে হবে। প্রত্যেক পুলিশ সদস্যের ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রী (মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ইত্যাদি) ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

নির্দেশনায় আরও বলা হয়, পুলিশি অভিযানের কাজে ব্যবহৃত অস্ত্র, হ্যান্ড কাফ, রায়ট গিয়ার, হ্যান্ড মাইক, মেটাল ডিটেক্টর, আর্চওয়ে ইত্যাদি যথাযথভাবে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। ডিউটি শেষে আবাসস্থলে ঢোকার আগে ইউনিফর্ম ও জুতা ভালোভাবে জীবাণুমুক্ত করে সাবান দিয়ে গোসল করতে হবে। এছাড়া ডাইনিং রুম, ক্যানটিন, বিনোদন কক্ষ, রোল কল, ডিউটিতে যাওয়ার আগে ও ডিউটি থেকে ফেরার পরে, সমাবেশস্থলে সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব অনুসরণ এবং স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রীর ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

করোনা উপসর্গ দেখা দিলে করণীয় তুলে ধরে নির্দেশনায় বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার উপসর্গ দেখা দিলে কিংবা আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে ছিল বা এসেছে— এমন পুলিশ সদস্যদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে নমুনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। করোনা পজিটিভ সদস্যদের চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কেন্দ্রীয় বা বিভাগীয় অথবা জেলা পুলিশ হাসপাতাল ও স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। জরুরি প্রয়োজনে রোগীকে অন্য কোথাও স্থানান্তরের ক্ষেত্রে ইউনিট ইনচার্জ তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেবেন।

ইউনিট ইনচার্জ ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের নিজ ইউনিটের আক্রান্ত সদস্য ও তার পরিবারের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা এবং সার্বিক সহায়তার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে পুলিশ সদর দফতর থেকে। এছাড়া হাজতখানা সবসময় জীবাণুমুক্ত রাখা এবং হাজতে থাকাকালীন কোনো ব্যক্তির করোনার লক্ষণ প্রকাশ পেলে অবিলম্বে তাকে আলাদা করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, রেশন সামগ্রী, ওষুধ ইত্যাদি সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও বিতরণের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি এবং সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে পুলিশ সদর দফতরের এসওপি’র নির্দেশনাগুলোও অনুসরণ করতে হবে। রোলকলেও পুলিশ সদস্যদের সচেতনতামূলক ব্রিফিং করতে হবে। পাশাপাশি করোনা সংক্রান্ত এর আগের পাঠানো নির্দেশনাগুলোও যথাযথ ও আন্তরিকভাবে পালন করতে বলা হয়েছে।

পুলিশ সদর দফতর বলছে, প্রতিটি পুলিশ ইউনিটে কর্মরত সব সদস্যের স্থানীয় স্বাস্থ্য প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে করোনাভাইরাসের বুস্টার ডোজ নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। করোনা সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী থাকায় পুলিশ সদস্য ও তাদের পরিবারদের অবশ্যই যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সারাবাংলা/টিআর

ওমিক্রন প্রতিরোধ করোনা সংক্রমণ করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ পুলিশ সদস্যদের নির্দেশনা

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর