সেন্টমার্টিন দ্বীপ নিয়ে বঙ্গোপসাগরে সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা
৭ জানুয়ারি ২০২২ ১৮:৪৪
ঢাকা: বঙ্গোপসাগরের ১৭৪৩ বর্গ কিলোমিটার এলাকাকে ‘সেন্টমার্টিন মেরিন প্রটেক্টেট এরিয়া’ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। সমুদ্র সম্পদের টেকসই আহরণের উদ্দেশে এই উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
গত মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) পরিবেশ বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের বন শাখা-২ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। উপ সচিব দীপক কুমার চক্রবর্তী স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বঙ্গোপসাগরের ১ হাজার ৭৪৩ বর্গকিলোমিটার দৈর্ঘ্য এলাকার ৭০ মিটার গভীর পর্যন্ত সীমানা চিহ্নিত করা হয়েছে। এই সীমানায় উত্তরে বঙ্গোপসাগর থেকে টেকনাফ পর্যন্ত, দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর, পূর্বে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের আন্তর্জাতিক জলসীমা এবং পশ্চিমে বঙ্গোপসাগর এলাকা রয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বন্যপ্রাণি ( সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন অনুযায়ী বৈশ্বিকভাবে হুমকির মুখে থাকা প্রবাল, গোলাপী ডলফিন, হাঙ্গর, রে ফিস, সামুদ্রিক কাছিম, সামুদ্রিক পাখি, সামুদ্রিক ঘাস, জীববৈচিত্র এবং এদের আবাসস্থল সংরক্ষণসহ সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের টেকসই আহরণের মাধ্যমে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবিকার মান উন্নয়ন, ব্লু ইকোনমি সমৃদ্ধকরণ ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি-১৪) অর্জনে এই পরিমান এলাকা সংরক্ষিত ঘোষণা করা হয়েছে।
বঙ্গোপসাগরে সাগরের বুকে বাংলাদেশ সীমানায় রয়েছে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বে মিয়ানমার সীমান্তের কাছে অবস্থিত সেন্ট মার্টিনের আয়তন ৮.৩ বর্গ কিলোমিটার। দ্বীপটি সামুদ্রিক কাছিমের প্রজনন ক্ষেত্র। এছাড়া এখানে একসময় ৬৮ প্রজাতির প্রবাল, ১৫১ প্রজাতির শৈবাল, ১৯১ প্রজাতির মোলাস্ট বা কড়ি জাতীয় প্রাণি, ৪০ প্রজাতির কাঁকড়া, ২৪৩ প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ, ৫ প্রজাতির ডলফিন, ৪ প্রজাতির উভচর প্রাণি, ১২০ প্রজাতির পাখি, ২৮ প্রজাতির সরীসৃপ, ২০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী, ১৭৫ প্রজাতির বাদুড়সহ নানা প্রজাতির প্রানীর বসবাস ছিলো। এসব প্রাণির অনেকগুলোই এখন বিলুপ্তির পথে।
উল্লেখ্য, এখানকার জীববৈচিত্র রক্ষায় ১৯৯৯ সালে সেন্টমার্টিনের ৫৯০ হেক্টর এলাকাকে পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা ঘোষণা করেছিলো সরকার। কিন্তু দিন দিন মানুষের বসতি বৃদ্ধি, পর্যটকদের আনাগোনা বাড়তে থাকায় তা বেশিদিন টিকেনি।
সারাবাংলা/জেআর/এমও