ধর্ষণের পর নারীকে খুনের ঘটনা ২ যুবক গ্রেফতার
৮ জানুয়ারি ২০২২ ১৯:৪১
গাজীপুর: শ্রীপুরে গত সোমবার (৩ জানুয়ারি) গজারির বন থেকে এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর হত্যার সঙ্গে জড়িত দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অভিযুক্তরা জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, লাকড়ি কুড়াতে গেলে ওই নারীকে ধর্ষণ করে তারা। পরে ঘটনা জানাজানি হওয়ার ভয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা তাকে।
এ ঘটনায় গ্রেফতার ওমর ফারুক (২০) উপজেলার লোহাগাছ বিন্দুবাড়ি গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে ও অপরজন রাব্বি (১৯) একই এলাকার মো. হাসমতের ছেলে। নিহত রাশিদা (৪৫) শ্রীপুর পৌর এলাকার মাধখলা গ্রামের শহিদুল ইসলামের স্ত্রী।
এর মধ্যে ওমর ফারুক হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। অভিযুক্ত ওমর ফারুক ও নিহত রাশিদা বেগম পূর্বপরিচিত।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আমজাদ শেখ জানান, রাশিদা বেগম বাড়ির পাশে ইসরাক স্পিনিং মিলস লিমিটেড কারখানায় চাকরি করতেন। গত শনিবার (২ জানুয়ারি) বাড়ির অদূরে দক্ষিণ ভাংনাহাটি এলাকার তালুকদারের ভিটা নামের গজারি বনে লাকড়ি কুড়াতে যায়। সেখানে অভিযুক্ত ওমর ফারুক গরুর জন্য ঘাস ও রাব্বি গরু চড়াচ্ছিল।
এর মধ্যে অভিযুক্তরা রাশিদাকে একা পেয়ে ধর্ষণ করে। ঘটনা প্রকাশ পাওয়ার ভয়ে ফারুক ও রাব্বি গলায় চাপ দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ জঙ্গলে ফেলে দেয়। স্থানীয়রা পরদিন জঙ্গলে লাকড়ি কুড়াতে গিয়ে লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়।
মামলার তদন্তকারী উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আমজাদ শেখ আরও জানান, হত্যার পর রাশিদার স্বর্ণের নাকফুল ও গলায় থাকা রূপার চেন ওমর ফারুক স্থানীয় সাঈদ নামের এক ব্যক্তির কাছে বিক্রির জন্য যায়। পরে সাঈদের দেওয়া তথ্যমতে ওমর ফারুককে গ্রেফতার করে পুলিশী হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে বোনের বাড়ি জামালপুর থেকে নাকফুল ও রূপার চেন উদ্ধার করা হয়।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোন্দকার ইমাম হোসেন বলেন, ‘হত্যার দায় স্বীকার করে ওমর ফারুক আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।’
সারাবাংলা/এমও