ঢাকা: নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, ‘কয়েক দিন আগে ফতুল্লায় ইউনিয়ন পরিষদ ভোট হলো, কেউ টেরও পেল না। আমিও গেলাম না। তখন কোনো কথা উঠেনি। কিন্তু নারায়ণগঞ্জের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কেন আমাকে বারবার সাবজেক্ট ম্যাটার করা হচ্ছে?’
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন ইস্যুতে এক সংবাদ সম্মেলনে শামীম ওসমান এ কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে শামীম ওসমান বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন খুব ছোট এলাকা। নির্বাচন এলেই আমি কেন এখানে সাবজেক্ট হই। আমার এলাকার ছোট একটি অংশ সিটি করপোরেশনে পড়েছে। নির্বাচন এলেই ইনি বলে আমি ওনার। উনি বলেন আমি ওনার।’
সিটি করপোরেশনে নৌকার প্রার্থী সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘‘কে প্রার্থী হু কেয়ার। কলাগাছ না আমগাছ তা না দেখার বিষয় না। প্রার্থীকে এই প্রতীক শেখ হাসিনা দিয়েছেন। এটি শেখ হাসিনার নৌকা, এটি বঙ্গবন্ধুর নৌকা, এটি শেখ রেহানার নৌকা, এটি মুক্তিযোদ্ধার নৌকা। সুতরাং নৌকার বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’
শামীম ওসমান বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ নৌকার ঘাঁটি। এখানে অন্য কিছু হবে না। প্রার্থী যেই হোক, নৌকার বিপক্ষে যাওয়ার সুযোগ নেই।’
তিনি বলেন, ‘আমি সত্য কথা বলতে পছন্দ করি। সব সত্য এখানে বলতে পারব না। ট্রুথ ইজ বিউচি, বিউটি ইজ ট্রুথ। নারায়ণগঞ্জ এলে বিভিন্নভাবে ইস্যু তৈরি করা হয়। কেউ দলের উল্টো দিকে হেঁটে দলের ক্ষতি করছে, কেউ দলের সঙ্গে হেঁটে ক্ষতি করছে।’
শামীম ওসমান বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের অত্যাচারের কথা ভুলিনি। বিএনপি-জামায়াত আমাদের বাড়িঘরে আগুন দিয়েছে। বিএনপির লোকেরা আমার বড় ভাইয়ের ৩০০টি গরুর দুধের বানকে ব্লেড দিয়ে কেটেছে। আমার আরেক ভাইকে টর্চার করা হয়েছে। আমাদের বাড়িটি ঘিরে বিএনটি-জামায়াতের ক্ষোভ ছিল। আমাদের বাড়িটিকে বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছিল।’
নারায়ণগঞ্জ নৌকার ঘাটি, শেখ হাসিরা ঘাটি, বঙ্গবন্ধুর ঘাটি, মুক্তিযোদ্ধার ঘাটি। একানে কেউ অন্য খেলার চেষ্টা করবেন না।
শামীম ওসমান বলেন, ‘আমরা রাজনীতি করি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ হলো আমার শেষ ঠিকানা, শেখ হাসিনা হলো আমার গন্তব্য। আমরা বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়েছিলাম সেটি হয়েছে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে, চলমাসন আছে। এখন নতুন প্রজন্মের জন্য একটি রাজনৈতিক আদর্শ আমাকে রেখে যেতে চাই। সেই চেষ্টা আমাদের করতে হবে।’