‘রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে খোঁচাখুচির আর্থিক মূল্য খুঁজে বের করুন’
১১ জানুয়ারি ২০২২ ১৬:১২
ফাইল ছবি: পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান
ঢাকা: রাজনৈতিক খোচাঁখুচির আর্থিক মূল্য নির্ধারণের তাগিদ দিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেছেন, এখানে অনেক পণ্ডিত মানুষ আছেন, অনেক জ্ঞানী মানুষ আছেন। আপনারা অনেক কিছু নিয়ে গবেষণা করেন। আমি আপনাদের আহ্বান জানাব, একে অন্যের সঙ্গে সামাজিক ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে খোঁচাখুচির আর্থিক মূল্য কত তা খুঁজে বের করেন। নিশ্চয়ই তার আর্থিক ক্ষতি আছে। তা বের করে আমাদের বলেন, এই যে আপনারা খোঁচাখুচি করেন তার আর্থিক ক্ষতি এত টাকা।
মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) আয়োজিত এক ওয়েবিনারে তিনি এসব কথা বলেন। করোনা পরবর্তী সময়ে অর্থনীতির পুনরুদ্ধার এবং ভবিষ্যত করণীয় শীর্ষক এই ওয়েবিনিয়ারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পিআরআই’র চেয়ারম্যান ড. জাইদি সাত্তার। সভাপতিত্ব করেন সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পোশাক রফতানিকারক ও মালিক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান প্রমুখ।
ওয়েবিনারে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন আজ সর্বত্র স্বীকৃত। বিশেষ করে করোনাকালীন আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সারাবিশ্বের চোখে পড়ার মত। আইএমএফ ও তাই বলছে। আর আপনোদের উপস্থাপনায় আজ এ বিষয়গুলো ওঠে এসেছে। দারিদ্রতা এক সময় আমাদের অনেক ভুগিয়েছে। কিন্তু আমরা এখন সেই জায়গায় নেই। তবে আমাদের উন্নয়নকে অনেকেই ম্যাজিক বলে, প্যারাডকস বলে। আমি মনে করি এই শব্দগুলো অপমানকর। এই শব্দগুলো ব্যবহার করে আমাদের দেশের মানুষের শ্রমকে অপমান করা হয়।’
প্রবাস আয়, রফতানি ও কৃষির উপর বাংলাদেশের অর্থনীতি দাঁড়িয়ে আছে উল্লেখ করে এম এ মান্নান বলেন, ‘এই তিন খাতেই সরকারের অবদান রয়েছে। করোনাকালীন আমরা প্রবাসীদের আয়ের উপর প্রণোদনা দিয়েছি। ফলে তারা বৈধ পথে দেশে টাকা পাঠিয়েছে এবং তারাই দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছে। আর ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর সরকার কৃষি ও কৃষকের জন্য ভর্তুকি দিয়ে যাচ্ছে। ফলে আমরা কৃষিকে স্বচ্ছল রাখতে পেরেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘করোনাকালীন প্রধানমন্ত্রীর সব থেকে বড় কৌশল ছিল সর্বাত্মক লকডাউান না দেওয়া। এতে যেটা হয়েছে তা অর্থনীতির জন্য সুখকর। ফলে আমরা দেখতে পারছি, এখন রফতানি আয়, বিশেষ করে পোশাক খাতে আয় বেড়েছে। তবে সামনের দিনে ওমিক্রনের কিছু চ্যালেঞ্জ আসতে পারে। আশা করি, আমরা আগের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে তা মোকাবিলা করতে পারব।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা বলেন, ‘আমারা দেখছি অর্থনীতি পুনরুদ্ধার হচ্ছে। তবে এই পুনরুদ্ধার সবার জন্য এক নয়। কেউ কেউ তার আগের অবস্থানে এখনও ফিরে যেতে পারেনি। বিশেষ করে যারা দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষ। শিক্ষায় আমাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। বাল্যবিবাহ বেড়েছে। এসব দিকে আগে আমাদের নজর দিতে হবে। সামনে বাজেট আসছে। সেই বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তাখাতে বরাদ্দ বাড়ানোর পাশাপাশি বিশেষ অঞ্চলকে গুরুত্ব দিতে হবে।’
সারাবাংলা/জেজে/পিটিএম