মেয়েকে ধর্ষণের মামলায় বিএনপি নেতা রুমি কারাগারে
১১ জানুয়ারি ২০২২ ১৯:১৪
ঢাকা: চার বছরের শিশুসন্তানকে ধর্ষণ মামলায় ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ডা. ইব্রাহীম রহমান রুমিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক জুলফিকার হায়াতের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন আসামি। শুনানি শেষে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ধর্ষণের শিকার শিশুটির মা ও রুমির সাবেক স্ত্রী গত ১ ডিসেম্বর বাদী হয়ে মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ এনে কলাবাগান থানায় এই মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, ২০১৬ সালের ২৬ জুন পারিবারিকভাবে ডা. ইব্রাহীম রহমান রুমির (৩৫) সঙ্গে তার বিয়ে হয়। এরপর তাদের একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। পরে বনিবনা না হওয়ায় গত বছরের ২৬ আগস্ট রুমির সঙ্গে তার বিচ্ছেদ ঘটে।
এজাহারে শিশুটির মা বলেন, গত বছরের ২৩ মার্চ বিকেল আনুমানিক সাড়ে ৪টায় তার অনুপস্থিতিতে চার বছরের মেয়েকে উত্তরার বাসা থেকে নিয়ে যান রুমি। ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাকে কলাবাগানের বাসায় নিজের হেফাজতে রাখেন রুমি। শিশুটির মায়ের অভিযোগ, ওই সময় ফেরত চাইলেও তার কন্যাকে নিতে দেননি রুমি। পরে এ বছরের ২২ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের আদেশে মেয়েকে নিজের হেফাজতে নেন তিনি।
এজাহারে বলা হয়, গত ১২ অক্টোবর রাত আনুমানিক ৮টায় আবারও মেয়েকে নিজের কলাবাগানের বাসায় নিয়ে যান ইব্রাহিম রহমান রুমি। পরদিন ১৩ অক্টোবর দুপুর ১২টার দিকে শিশুর মা কলাবাগান থেকে তাকে উত্তরায় নিজের বাসায় ফিরিয়ে আনেন। বাসায় আনার পর পোশাক পরিবর্তনের সময় মেয়ের শরীরে নির্যাতনের ছাপ দেখতে পান তিনি।
শিশুটির মায়ের অভিযোগ, গত ২৩ মার্চ থেকে ২১ সেপ্টেম্বর এবং ১২ অক্টোবর থেকে ১৩ অক্টোবর দুপুর ১২টা পর্যন্ত কলাবাগানের বাসায় নিজ হেফাজতে রাখার সময় রুমি বিভিন্ন সময়ে মেয়েকে যৌন নির্যাতন করেছেন।
সারাবাংলা/এআই/এনএস
ডা. ইব্রাহীম রহমান রুমি বিএনপি মেয়েকে ধর্ষণ শিশুসন্তানকে ধর্ষণ