ঢাকা: আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, মানব পাচার মানবাধিকার লঙ্ঘনের একটি জঘন্য রূপ। এটি বিশ্বের সর্বত্র ঘটে এবং বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়।
তিনি বলেন, ‘শুধু আইন দিয়ে এ অপরাধ দমন বা প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। এ জন্য সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।’
বুধবার (১২ জানুয়ারি) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে মানব পাচার, প্রাসঙ্গিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আইন এবং বিচার নিশ্চিতকরণ বিষয়ক এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। কর্মশালায় মানব পাচার এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ২৩ জন বিচারক অংশগ্রহণ করেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে মানব পাচার সংগঠিত অপরাধের একটি প্রধান রূপ হয়ে উঠেছে এবং তা সমাজের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। এটি আধুনিক দাসপ্রথার একটি নতুন ধারা যেখানে নারী, পুরুষ ও শিশুদের নির্যাতন ও শোষণের শিকার করে পাচারকারীরা লাভবান হয়।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার মানব পাচারের বিরুদ্ধে জিরো-টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে এবং এই জঘন্য অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে। এর অংশ হিসেবে মানব পাচারের মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ আইন ও ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে এবং সেগুলোতে বিচারক এবং প্রসিকিউটর নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি কমিটি কাজ করছে। মানব পাচার সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের জন্য পুলিশ সদর দফতরে একটি মনিটরিং সেল চালু করা হয়েছে।’
বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সংস্থা— উইনরক ইন্টারন্যাশনালের ইউএসএআইডি-এর এফএসটিআইপি অ্যাক্টিভিটির চিফ অব পার্টি লিজবেথ জোনেভেল্ড ও বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের পরিচালক গোলাম কিবরিয়া বক্তৃতা করেন।