আমদানি শুল্ক কমিয়ে করজাল বাড়ান: এফবিসিসিআই সভাপতি
১২ জানুয়ারি ২০২২ ১৯:৪১
ঢাকা: মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কিছু পণ্যের আমদানি শুল্ক কমানোর পরামর্শ দিয়েছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি জসীম উদ্দিন। একইসঙ্গে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়াতে করজাল (করের আওতা) বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
বুধবার (১২ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) আয়োজিত মিট দ্যা রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ডিআরইউ সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু ও সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিব এতে উপস্থিত ছিলেন।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘দেশে মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের কাছাকাছি চলে গেছে। জনগণ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে হিমশিম খাচ্ছে। আমাদের অনেক পণ্য উৎপাদনে খরচ বেড়ে গেছে। কারণ করোনার কারণে অনেক উপকরণ আমদানিতে খরচ বেড়েছে। যেহেতু পণ্যের দাম বেড়ে গেছে, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কিছু কিছু পণ্যের এক্সপোর্ট ডিউটি কমানো যেতে পারে।’
আমদানি শুল্ক কমানো হলে সরকারের রাজস্ব কমবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমরা সরকারের রাজস্ব কমানোর কথা বলছি না। আমরা রেভিনিউ এর বিপক্ষে না। আমরা সরকারকে বলছি করজাল বাড়াতে। যারা কর দেয় তাদের উপরই করের ভাড় বাড়ে। কিন্তু সরকারের উচিৎ নতুন করে করদাতা সৃষ্টি করা। করের নতুন নতুন ক্ষেত্র তৈরি করা।’
ব্যবসায়ীদের আরও বেশি হারে ইএফডি মেশিন দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে এফবিসিআই সভাপতি বলেন, ‘আপনারা আরও বেশি হারে ইএফডি মেশিন দেন। ততে ভ্যাট আদায়ে স্বচ্ছতা আসবে। ব্যবসায়ীরা এখন এই মেশিন নেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে আছেন।’
জসিম উদ্দিন বলেন, ‘সরকার আয়কর আইন নিয়ে কাজ করছে। এটি এখন বাংলায় হচ্ছে। এতে অনেক পরিবর্তন আসছে। বেসরকারি খাতের মতামত না নিয়ে এই আইনটি সংশোধন করা উচিৎ হবে না। হঠাৎ করে আইন করলে আইনি জটিলতা তৈরি হবে। যিনি কর দিচ্ছেন তার উপরেই চাপ বাড়ছে। আমরা কখনও রেভিনিউ এর বিরুদ্ধে না। স্টেক হোল্ডারদের মতামত না নিয়ে কোন পলিসি করবেন না।’
তিনি বলেন, ‘ব্যাংকগুলো শুধু বড় গ্রাহকদের ঋণ দিচ্ছে। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ব্যাংক যেন ঋণ দেয় সে ব্যাপারে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে। ব্যাংকগুলোকে বাধ্য করা উচিৎ ঋণের একটি অংশ এসএমইএ’দের দিতে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে একটি দেশেরও এফটিএ নেই। এফটিএ করতে মন্ত্রণালয়ের সক্ষমতা বাড়ানো দরকার। মন্ত্রণালয়গুলোতে স্পেশালাইজড লোকের খুব অভাব।’
এফবিসিসিআিই সভাপতি বলেন, ‘শিল্পনীতি তৈরিতে আমরা কাজ করছি। এখন এটি ড্রাফট পর্যায়ে আছে। দায়িত্ব নেওয়ার পর শিল্পনীতি তৈরিতে আমরা ১৮ জন অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের নিয়োগ দিয়েছি।’
অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআই সভাপতি আর লকডাউন না দেওয়ার আহ্বানও জানান।
সারাবাংলা/ইএইচটি/একে