হঠাৎ বৃষ্টিতে ঘর ফিরতি মানুষের দুর্ভোগ
১২ জানুয়ারি ২০২২ ২১:৪৩
চাঁপাইনবাবগঞ্জ: মাঘ আসি আসি করছে। তবু রৌদ্রকরোজ্জ্বল দিন। এর মধ্যেই হঠাৎ সন্ধ্যার আগে আগে আকাশে মেঘ। দেখতে না দেখতেই বৃষ্টির ফোঁটা নেমে আসে। কোথাও ভারী, কোথাও হালকা বৃষ্টির ঝাপটা। আচমকা এই বৃষ্টিতে ঘর ফিরতি মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। বিপাকে পড়তে হয়েছে শ্রমজীবীদেরও।
বুধবার (১২ জানুয়ারি) হঠাৎ এমন এক পশলা বৃষ্টিতে ভিজেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ। আবহাওয়া অফিসের তথ্য বলছে, সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে গোমস্তাপুরে। তবে বৃষ্টির কারণেই গোটা জেলাতেই বেড়েছে শীতের তীব্রতা। তবে এ বৃষ্টিতে জমিতে থাকা ফসলের কোনো ক্ষতি হবে না বলে জানিয়েছে কৃষি অফিস।
গোমস্তাপুর উপজেলার পার্বতীপুর ইউনিয়নের আড্ডা এলাকার বাসিন্দা রুহুল বিকেলে রহনপুর বাজারে ছেলের জন্য শীতের পোশাক কিনতে গিয়েছিলেন। সন্ধ্যায় হঠাৎ বৃষ্টিতে আটকা পড়েন বাজারে। ছোট ছেলেকে নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন খোঁয়াড়মোড় বাস স্ট্যান্ডে।
মাঠে কাজ করা শ্রমিক এরশাদ জানান, ঘোড়াদহ মাঠে ইরি ধান রোপণের জন্য জমি তৈরি করে ফিরছিলেন। পথে বৃষ্টিতে ভিজে গেছেন। তবে এই বৃষ্টিতে জমির ক্ষতির বদলে বরং লাভই হয়েছে বলে মনে করছেন। তিনি বলেন, বৃষ্টিতে জমির কোনো ক্ষতি হবে না। বরং জমিতে পানির প্রয়োজন আছে। আমারসহ সবার ভালোই হয়েছে।
রহনপুর পৌর এলাকার বাসিন্দা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আনারুল ইসলাম বলেন, পরিবার নিয়ে বিকেলে বাজারে ছিলাম। বৃষ্টি শুরু হলে আটকে পড়েছি। পরে পাশের দোকান থেকে ছাতা নিয়ে কোনোমতে বাড়ি গিয়েছি।
ভ্যানচালক সুজন জানান, ভ্যান চালাচ্ছিলেন। আচমকা বৃষ্টিতে ভ্যানের যাত্রীরা সবাই ভিজে গেছেন। তাদের কোনোমতে নামিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু আর যাত্রী তেমন একটা পাচ্ছেন না।
জানতে চাইলে গোমস্তাপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সীমা কর্মকার বলেন, এ বৃষ্টিতে ফসলি জমির তেমন ক্ষতি হবে না। গম, অন্যান্য ফসল ও আবাদী ধানের জমির জন্য ভালো হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান, কৃষকের ক্ষেতে এখন মসুর, মটর, গম, ভূট্টাসহ বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি রয়েছে। তবে যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে তাতে ফসলের ক্ষতি হবে না। গোমস্তাপুরে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে। সেখানেও তেমন ক্ষতি হবে না। তবে আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) রোদ যদি না ওঠে, তাহলে হয়তো কিছুটা ক্ষতি হতে পারে।
সারাবাংলা/টিআর