রেড জোনে রাঙ্গামাটি, সচেতনতায় জোর স্বাস্থ্য বিভাগের
১৩ জানুয়ারি ২০২২ ১৩:০২
রাঙ্গামাটি: দেশে নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ আবারও ঊর্ধ্বমুখী। গত এক সপ্তাহে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে শনাক্তের হার। এরই মধ্যে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। গত মঙ্গলবার বিকেলে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। সে হিসেবে সংক্রমণের উচ্চঝুঁকি, মধ্যম ঝুঁকি ও কম ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করা হয়। অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ঢাকা ও পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি সংক্রমণের রেড জোন অর্থাৎ উচ্চঝুঁকি রয়েছে। এছাড়া হলুদ জোন বা মধ্যম ঝুঁকির তালিকায় রয়েছে ৬ জেলা এবং কম ঝুঁকি অর্থাৎ সবুজ জোনে রয়েছে দেশের ৫৪ জেলা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উচ্চঝুঁকিতে থাকা ঢাকায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে করোনা শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৯০ শতাংশ এবং রাঙামাটিতে শনাক্তের হার ১০ শতাংশ। এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে ৪৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে তিন জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ। গত এক সপ্তাহে ২১৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৮ জনের। শনাক্তের হার ৮ দশমিক ২১ শতাংশ।
তবে রাঙ্গামাটিকে রেড জোন ঘোষণা করা হলেও সাধারণ মানুষের মধ্যে নেই সচেতনতা। অনেকেই এই বিষয়টি জেনে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। তবে স্বাস্থ্য বিধি মানাতে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত প্রতিদিন জেলার জনবহুল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করছে।
জেলা শহরের বনরূপায় গতকাল বুধবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে বাজার করতে আসা প্রকৃতি চাকমা বলেন, অনেকটাই আবাক হয়েছি রেড জোনে রাঙ্গামাটির নাম দেখে। তারপরও রাঙ্গামাটির মানুষ অনেকটাই সচেতন। এখন আরও বেশি সচেতনতার প্রয়োজন। রফিকুল ইসলাম নামে এক পথচারী বলেন, করোনায় রাঙ্গামাটিতে তেমন একটা সমস্যা নেই। তাই মাস্ক পরতে হয় না।
সিভিল সার্জন ডা. বিপাশ খীসা বলেন, অনেকটাই শতাংশের মারপ্যাঁচে পড়ে আমরা রেড জোনে পড়েছি। গত এক সপ্তাহে জেলায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৮ জনের। এর মধ্যে একজনই হাসপাতালে ভর্তি আছে, বাকিরা বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। তারপরও করোনা ঊর্ধ্বগতি রোধে প্রশাসনসহ আমরা কাজ করছি। তবে সাধারণ মানুষকে আরও বেশি সচেতন হতে হবে।
রাঙ্গামাটির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মামুন বলেন, করোনার ঊর্ধ্বগতি রোধে প্রশাসন শুরু থেকেই কঠোর রয়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে জরিমানা আদায় করেছে। ভবিষ্যতেও এই ধারা বজায় থাকবে। শুরু থেকেই সচেতনতার ওপর জোর দেয়া হয়েছে। এজন্য মাস্কও বিতরণ করা হচ্ছে।
সারাবাংলা/এনএস